
যে নতুন গ্র্যাজুয়েটরা সবেমাত্র তাদের প্রথম চাকরি শুরু করেছেন তাদের জন্য বিশাল সুযোগ অ’পেক্ষা করছে। নতুন গ্র্যাজুয়েটরা তাদের প্রথম চাকরিতে সবচেয়ে বেশি যে ভুলগু'লো করেন তার ১০টি হলো-
১. যথে'ষ্ট প্রশ্ন করেন না
নতুন কিছু শেখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো, প্রশ্ন করা। চাকরিতে নতুন কর্মীরা মূলত এই ভয়ে প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকেন যে এতে হয়তো তাদের বোকা বা ঔ'দ্ধত্যপূর্ণ ভাবা হবে। কিন্তু কোনো কিছু জানার সময় পার হয়ে যাওয়ার আগেই সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা ভালো।
২. প্রতিক্রিয়া জানতে চান না
নতুন কিছু শেখার আরেকটি উপায় হলো প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া। নতুন কর্মীদের নিজ থেকেই তাদের কাজের মূল্যায়ন সম্পর্কে জানতে হবে। বিশেষ করে নতুন কোনো প্রেজেন্টেশন বা প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর পরই নিজের কাজের উন্নতি সম্পর্কে প্রতিষ্ঠানের মূল্যায়ন কী তা জানতে চাওয়া উচিত নতুন কর্মীদের।
৩. দেরিতে কাজ করেন
নতুন গ্র্যাজুয়েটদের উদ্যম বেশি থাকে। আর ঘরেও তাদের বাড়তি কোনো দায়িত্ব পালন করতে হয় না। কিন্তু তা সত্ত্বেও চাকরিতে যোগদানের পর নতুন গ্র্যাজুয়েটরা কাজে দেরি করেন। প্রকৃতপক্ষে দেরি করার মানে হলো তারা তাদের সময়ের যথাযথ ব্যবহার করছেন না। তবে এমনও সময় আসতে পারে যখন নির্দি'ষ্ট সময়সীমা'র জন্য তাঁদের দেরি করতে 'হতে পারে। কিন্তু প্রতিদিনই দেরি করার কোনো অর্থ হয় না।
৪. নিজেদের যত্ন নেন না
তরুণ বয়সে হয়তো স্বেচ্ছাচার করেও বেঁচে থাকা সম্ভব। কিন্তু স্বাস্থ্যের যত্ন না নেওয়াটা একটা বড় ভুল। ভালো খেতে না পারা, শরীরচর্চা না করা এবং পর্যা'প্ত পরিমাণে না ঘু'মালে তরুণ পেশাজীবীদের শুধু নিজেদের স্বাস্থ্যেরই ক্ষ'তি হয় না, এতে কর্মস্থলেও খারাপ প্রভাব পড়ে।
৫. বসের প্র'ত্যাশাগু'লো পরিষ্কার করে জানেন না
অফিসে নিয়মিত দেরি করে কাজ করার কারণ 'হতে পারে বসের প্র'ত্যাশাগু'লো কী তা পরিষ্কার করে না জানা। বসের প্র'ত্যাশাগু'লো পরিষ্কার করে না জানাটা আরেকটি কারণেও ভুল। এতে বসের প্র'ত্যাশাগু'লো কখনোই ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় না।
৬. নতুন উদ্ভাবনের চে'ষ্টা করেন
তাদের মধ্যে ধারণা থাকে, তাদের কাজ একেবারে শতভাগ মৌলিক 'হতে হবে। কিন্তু সত্য হলো, অন্য কম্পানি, ব্র্যান্ড বা প্রকল্পগু'লো থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে। ওই উদাহরণগু'লোর দিকে দৃ'ষ্টিপাত না করা এবং সেগু'লো থেকে অর্জিত অন্তদৃ'ষ্টি কাজে না লাগানো একটি বড় ভুল।
৭. পুশব্যাক করেন না
নতুন গ্র্যাজুয়েট হিসেবে নিজের পছন্দকে প্রাধান্য না দিয়ে যা করতে বলা হয় তা মেনে নেয়াটাই উত্তম। তবে নিজের সামর'্থ্যের বেশি দায়িত্ব গ্রহণ বা অন্যের দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নেওয়াটাও ভুল। ফলে অনেক সময় অযৌ'ক্তিকভাবে নির্ধারিত সময়সীমা'র বিরু'দ্ধাচরণ করা উচিত।
৮. কোনো সমস্যা দৃ'ষ্টিগোচরে আনতে চান না
ঔ'দ্ধত্য বা পুরো দায়দায়িত্ব গ্রহণ করতে 'হতে পারে—এমন ভুল ধারণা থেকে নতুন গ্র্যাজুয়েটরা প্রায়ই কোনো সমস্যা দৃ'ষ্টিগোচরে আনতে চান না। কিন্তু সমস্যা আছে তা স্বীকার করে নেওয়াটাই উত্তম এবং সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করার দায়িত্ব নেয়াও ভালো। সমস্যাকে অগ্রাহ্য করা বা নিজে নিজেই তা সমাধানের দায়িত্ব নেওয়া ঠিক নয়।
৯. কোনো বি'ষয়কে বেশি জটিল করে তোলেন
নতুন কর্মীরা কোনো সমস্যার সরল সমাধান না করে বরং বিস্তারিত সমাধান করতে গিয়ে সেটিকে আরো জটিল করে তোলেন। এ জন্য তারা দীর্ঘ পাওয়ার পয়েন্ট ডেক উৎপাদন করেন বা একের পর এক টেক্সট প্যারাগ্রাফ তৈরি করেন। এতে শ্রোতারা আরো বেশি বিভ্রা'ন্ত হয়।
১০. নতুনরা বৃহৎ পরিপ্রেক্ষিতটা দেখেন না
নতুন গ্র্যাজুয়েটরা তাদের কাজকে খুবই গু'রুত্বের সঙ্গে নেন। তারা সহজেই নিজেদের প্রকল্পে আট'কেও পড়তে পারেন। এর পেছনে তাদের মধ্যে এই ধারণা কাজ করে যে তাদের প্রকল্পটাই বুঝি সব। পাশাপাশি টিমের অন্য সদস্যদের বিশেষ প্রকল্প সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে হয়রানির মধ্যে ফেলা বা বৃ'হত্তর প্রাতিষ্ঠানিক বি'ষয়গু'লোকে উপেক্ষা করেন নতুনরা। কিন্তু বৃ'হত্তর পরিপ্রেক্ষিতটা বুঝতে পারলে অন্যদের সহায়তা পাওয়া সহজ হয়।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার