এমপির মেয়ে বললেন আমাকে অ’পহ’রণ করেনি, সেচ্ছায় বিএনপি নেতাকে বিয়ে করেছি

প্রেমের টানে ঘর ছেড়েছিলেন ঝিনাইদহ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেত্রী খালেদা খানমের মেয়ে সোহেলী আহম্ম'দ ও বিএনপি’র জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাজেদুর রহমান পপ্পু। এ ঘট

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো ঢাকা নোটারি পাবলিকের একটি হলফনামা আইনজীবীর মাধ্যমে পাঠিয়ে এই দাবি করেন তিনি। গত ১২ আগস্ট এমপি কন্যা এই হলফনামা দেন। ঢাকা জেলা জজ আ'দালতের আইনজীবী মো. মানজুর হোসাইন সাক্ষরিত ওই হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমি আমা'র সাবেক স্বামী মা'দকাসক্ত বিল্লাল হোসেন লিটনকে পাঁচ মাস আগেই তালাক দিয়ে সাজেদুর রহমান পপ্পুকে বিয়ে করে ঘর সংসার করছি। ফলে নিজের অ’পহরণের বি'ষয়ে তার সাবেক স্বামী ঝিনাইদহ সদর থা'নায় যে মাম'লা করেছেন তার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। তাকে অ’পহরণের কোন প্রশ্নই ওঠে না। বরং তিনি বর্তমান স্বামী সাজেদুর রহমান পপ্পুকে নিয়ে সুখে শান্তিতে ঘর সংসার করছেন।

৩ পৃষ্ঠার হলফনামায় এমপি কন্যা সোহেলী আহম্মেদ জানান, তার সাবেক স্বামী বিল্লাল হোসেন লিটন মা'দকাসক্ত, মা'দক ব্যবসায়ী, নারী কেলেঙ্কারি ও প্রতারক হিসেবে পরিচিত লাভ করলে তিনি নিজের ও একমাত্র সন্তানের ভবি'ষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে তালাক দেন এবং গত ৩ মা'র্চ ২০২১ তারিখে সাজেদুর রহমান পপ্পুকে মুসলিম শরিয়া আইন মোতাবেক বিয়ে করেন। তালাক দেয়ার পর স্ত্রী দাবি করে অ’পহরণ মাম'লা দায়ের করা একজন সাবেক স্বামীর কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।

Interesting For You

হলফনামায় সোহেলী আহম্মেদ আরও বলেন, তার সাবেক স্বামী কাঞ্চনপুর ট্রাক টার্মিনাল পাড়ার শফি উদ্দীন মুন্সির ছেলে বিল্লাল হোসেন লিটনকে প্রথমে আদর্শপাড়ার কাজী হারুন অর র'শিদের নিকাহ রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তালাক দেন। তখন লিটন মা'দকাসক্ত হয়ে পড়েন। এভাবে তিনি তার সাবেক স্বামীকে ৫/৬ বার তালাক দেন। তালাক দেয়ার পর প্রতিবারই সে আর মা'দক সেবন করবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিয়ে করেন। কিন্তু লিটন মা'দক সেবন ও ব্যবসা থেকে ফিরে না আসায় সর্বশেষ তাকে তালাক দিয়ে পপ্পুর সঙ্গে ঘর সংসার করতে থাকি। এরপর লিটন পরিকল্পিতভাবে আমা'র মা আওয়ামী লীগের মহিলা এমপি ও পিতাকে জি'ম্মি করে ভয়ভীতি দেখিয়ে আমা'র মায়ের অ'সুস্থতার খবর দিয়ে বাসায় ডেকে আনে এবং বাসায় আট'কিয়ে রেখে জোরপূর্বক আবারো একটি নীল কাগজে সাক্ষর করিয়ে নেয়।

“ফেসবুকে স্বামী-স্ত্রীর মতো ঘনি'ষ্ট ছবি তুলে পোস্ট করতে থাকে যাতে আমা'র বর্তমান স্বামী পপ্পু তার ওপর রু'ষ্ট হয়ে ওঠে। এভাবে তিন মাস আমি আমা'র মায়ের বাসায় ব'ন্দি জীবন কা'টানোর পর পালিয়ে বর্তমান স্বামীর বাড়িতে চলে আসি। এরপরেই জানতে পারি সাবেক স্বামী আমাকে স্ত্রী দাবি করে ঝিনাইদহ সদর থা'নায় অ’পহরণ মাম'লা করেছে। সেই মাম'লায় আমা'র বর্তমান স্বামী সাজেদুর রহমান পপ্পুকে আ'সামি করা হয়েছে। যা হয়রানীর নামান্তর।” হলফনামায় তিনি আরও বলেন, আমাকে কেউ অ’পহরণ করেনি। আমি সেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে পপ্পুকে বিয়ে করেছি।

অ’পরদিকে, বি'ষয়টি নিয়ে সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি খালেদা খানম প্রথম থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে আসছেন যে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার অবস্থান ও সম্মান ক্ষুন্ন করার জন্য মেয়েকে অ’পহরণ করেছে। তিনি তার মেয়ের জীবন নিয়েও শ'ঙ্কা প্রকাশ করেন। তার মেয়েকে অ’পহরণের দাবির কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পত্র-পত্রিকা ও অনলাইনে ভাইরাল হওয়ার পর মেয়ে এই হলফনামা পাঠিয়ে মায়ের দাবির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করলেন।