
আবারও শা'স্তি পেয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রা'প্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) মো. মাহবুব কবীর মিলন। অনলাইন নিউজ পোর্টালে একটি লেখা প্রকাশিত হওয়ার জেরে তাকে শা'স্তি দেয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক এই অতিরিক্ত সচিবকে বিভাগীয় মাম'লায় দ'ণ্ড হিসেবে ‘তিরস্কার’ করে সম্প্রতি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাহবুব কবীর রেলপথ মন্ত্রণালয়ে কর্মকালে তার উ'দ্ধৃতি দিয়ে eisomoy365.com নামের অনলাইন পত্রিকায় ‘বিনিয়োগ করতে এসে হু হু করে কাঁদতে দেখেছি বিদেশিদের’ শিরোনামে একটি লেখা প্রকাশিত হয। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ব্যতীত ও প্রকৃত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্র ব্যতীত পত্রিকায় প্রকাশিত এ লেখায় তার মনগড়া, ভিত্তিহীন ও সরকারের জন্য অ'স্বস্তিকর বক্তব্য প্রকাশিত হওয়া সরকারি কর্মচারী হিসেবে তার আচরণবিধি ল'ঙ্ঘনের শামিল হওয়ায় তার বিরু'দ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ এর বিধি ৩ (খ) অনুযায়ী ‘অ'সদাচরণ’ এর অ'ভিযোগে বিভাগীয় মাম'লা রুজু করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, অ'ভিযুক্ত কর্মকর্তা মাহবুব কবীরের বিরু'দ্ধে রুজু হওয়া বিভাগীয় মাম'লায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০২০ সালের ৬ সেপ্টেম্বর অ'ভিযোগনামা ও অ'ভিযোগ বিবরণী পাঠানোর মাধ্যমে তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর তিনি ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর লিখিত জবাব দাখিল করে ব্যক্তিগত শুনানির প্রার্থনা করেন।
বিভাগীয় মাম'লায় একই বছরের ২২ অক্টোবর ব্যক্তিগত শুনানি অনুষ্ঠিত হয় উল্লেখ করে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ সময় মাম'লার অ'ভিযোগ লিখিত জবাব ও ব্যক্তিগত শুনানিতে দেওয়া উভ'য় পক্ষের বক্তব্য বিবেচনায় অ'ভিযোগটি তদ'ন্তের জন্য বাংলাদেশ স্হলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে.এম. তারিকুল ইসলামকে তদ'ন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। তদ'ন্তকারী কর্মকর্তা থেকে চলতি বছরের ১২ এপ্রিল দাখিল করা তদ'ন্ত প্রতিবেদনে মাহবুব কবীররের বিরু'দ্ধে আনীত সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অ'সদাচরণের অ'ভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ'ভিযুক্ত কর্মকর্তার বিরু'দ্ধে আনীত অ'সদাচরণেরর অ'ভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং অ'ভিযোগের গু'রুত্ব ও প্রাসঙ্গিক প্রশাসনিক বি'ষয়াদি বিবেচনায় সরকারি কর্মচারী বিধমালা মোতাবেক তাকে তিরস্কার নামীয় লঘুদ'ণ্ড প্রদানের প্রাথমিক সি'দ্ধান্ত নেওয়া হলে এ লঘুদ'ণ্ড আরোপের বি'ষয়ে মহামান্য রা'ষ্ট্রপতি সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেন।
এতে আরও বলা হয়, মাহবুব কবীরের বিরু'দ্ধে সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী অ'সদাচরণের অ'ভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং অ'ভিযোগের গু'রুত্ব ও প্রাসঙ্গিক প্রশাসনিক বি'ষয়াদি বিবেচনায় বিধিমালার ৪ (২) (ক) বিধি মোতাবেক তাকে তিরস্কার নামীয় লঘুদ'ণ্ড দেওয়া হলো।
এর আগে ২০২০ সালের ২৫ মা'র্চ বাংলাদেশ নিরাপ'দ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদ থেকে তাকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। সে পদে বেশি দিন থাকতে পারেননি তিনি।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ে আলোচিত কর্মকর্তা ছিলেন মাহবুব কবীর। ‘তিন মাসে দুর্নীতি দূর করতে ১০ কর্মকর্তার উইং’ চেয়ে আলোচিত অতিরিক্ত সচিব মাহবুবকে ‘তিরস্কার’ করে সরকার। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের আগে বাংলাদেশ নিরাপ'দ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ছিলেন মাহবুব কবীর মিলন।
এসজে/