
বুধবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে বেসরকারি সিটি ব্যাংক ও 'বিকাশের উদ্যোগে ‘ডিজিটাল ন্যানো লোন’
নামে নতুন এই সেবার উদ্বোধন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে 'বিকাশ ও সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন, এতদিন গ্রামের মানুষ চড়া সুদে ঋণ নিতে ছুটে যেতেন মহাজন ও বিভিন্ন এনজিওর কাছে।
ডিজিটাল ঋণ কার্যক্রম চালু হওয়ায় সেই চিত্র বদলে যাব'ে। গ্রাহকদের এখন থেকে আর এনজিওর কাছ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সুদে কিংবা মহাজনদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিতে হবে না।
এই প'দ্ধতিতে ঋণের আবেদন করার সময় কোনো নথিপত্রের দরকার হবে না। কোনো জামিনদার লাগবে না।
ঋণ পেতে গ্রাহককে তার 'বিকাশ অ্যাপ থেকে ‘লোন’ আইকনে ক্লিক করতে হবে। এরপর কেওয়াইসি তথ্য সিটি ব্যাংকের সঙ্গে শেয়ার করার অনুমতি দিতে হবে।
কত টাকা ঋণ নিতে চান এবং ঋণের মেয়াদ কত হবে তা নির্বাচন করতে হবে। এরপর ঋণ নেওয়ার শর্তাবলিতে সম্মতি জানাতে হবে।
'বিকাশের লেনদেন প্রতিবেদন ও ব্যবহারের ধরন দেখে কৃত্রিম বু'দ্ধিমত্তাই (এআই) ঠিক করে দেবে গ্রাহক ঋণ পাওয়ার যোগ্য কি না।
ঋণের আবেদন কৃত্রিম বু'দ্ধিমত্তার পর্যালোচনায় উত্তীর্ণ হলে মুহূর্তেই ঋণের টাকা চলে যাব'ে গ্রাহকের 'বিকাশ অ্যাকাউন্টে।
৯ শতাংশ সুদে ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ মিলবে।
ঋণের মেয়াদ সর্বোচ্চ তিন মাস। এই ঋণের বার্ষিক সুদহার ৯ শতাংশ। এবং ঋণের মাশুল হবে ঋণের দশমিক ৫ শতাংশ।
২০১২ সালে কেনিয়ায় প্রথম ডিজিটাল ঋণ চালু হয়। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে। এখন ছোট অ'ঙ্কের টাকার জন্য এই ডিজিটাল ঋণ বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়।