১৫ আগস্ট জ’ঙ্গি হাম’লা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসকে ঘিরে জঙ্গি হাম'লার আশ'ঙ্কা থাকলেও তা ঠেকাতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এখন যারা জঙ্গি হাম'লা করার চে'ষ্টা করছে, তাদের প্রধান টার্গেট হলো বিদেশি মিডিয়ায় আসা। ছোট একটি ঘটনা ঘটিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় আসতে পারে। এক্ষেত্রে ১৫ আগস্ট তাদের কাছে অত্যন্ত গু'রুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ।
১৫ আগস্ট ভেন্যুর আশপাশে না হোক, ভেন্যু থেকে ২ কিলোমিটার দূরেও যদি তারা বো'মা ফাটাতে পারে তাহলে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার দৃ'ষ্টি আকর্ষণ করবে। ফলে এদিক বিবেচনায় তারা সর্বোচ্চ চে'ষ্টা করবে বলে জানা গেছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাৎবার্ষিকী ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপ'ত্তা বলায় তৈরি করছেন। বড় কোনো অ’প্রীতিকর ঘটনা ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ফাঁ'কা ঢাকাকে নিরাপ'দ রাখতে দশ হাজারের বেশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ১৫ আগস্ট শেষ বেলা পর্যন্ত এ সতর্ক অবস্থান বলবৎ থাকবে।
গোয়েন্দা সংস্থা মাধ্যমে এ সব তথ্য জানা গেছে, তথাকথিত নব্য জেএমবি শোক দিবসে সাধারণত বড় ধরনের স'ন্ত্রাসী হাম'লার আশংকা করছে। এই অবস্থায় নব্য জেএমবির সদস্যরা হাম'লা পরিচালনাসহ যেকোনো জঙ্গি হাম'লা বা বো'মা হাম'লার মাধ্যমে হ'ত্যাকান্ড সং'ঘটনসহ নাশ'কতামূলক কর্মকান্ড করতে পারে। তাই, পু'লিশের সব ইউনিটকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করে করে যথাযথ নিরাপ'ত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে।
পু'লিশের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, হাম'লার সম্ভাব্য লক্ষ্যবস্তু পু'লিশের কোনো টিম, স্থাপনা বা যানবাহন। এছাড়া টার্গেট রয়েছে শোক দিবসের ভ্যানু। হাম'লাকারীরা হাতে তৈরি সময় কিংবা দূর নিয়ন্ত্রিত গ্রে'নেড, বো'মা কিংবা ছু'রি-চা'পাতি দিয়ে হাম'লা 'হতে পারে।
পু'লিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটসহ জঙ্গিসংশ্লি'ষ্ট ইউনিটগু'লোকে প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া উগ্রপন্থী বা তাদের সংগঠনের উপর নজরদারি বৃ'দ্ধি, পু'লিশের সবাইকে ব্যক্তিগত নিরাপ'ত্তা বজায় রাখা, পু'লিশের গাড়ি-স্থাপনা খালি বা পরিত্য'ক্তভাবে ফেলে না রাখা, পু'লিশের ভবনগু'লোতে প্রবেশের সময় নিরাপ'ত্তা ও পরিচয় নিশ্চিত করা ও নজরদারি বৃ'দ্ধি করা, চেকপোস্টে তল্লা'শি বাড়ানো, সন্দে'হ হলে ব্যাগ-দে'হ তল্লা'শি করা, সন্দে'হজনক এলাকায় ব্লক রেইড করতে সংশ্লি'ষ্ট ইউনিটগু'লোকে নির্দেশ দিয়েছে পু'লিশ সদর দ'প্ত র।

Interesting For You

পু'লিশ সূত্র জানা গেছে, শোক দিবসকে সামনে রেখে নব্য জেএমবির সদস্যরা বো'মা হাম'লার মাধ্যমে হ'ত্যাকান্ড সং'ঘটনসহ বিভিন্ন নাশ'কতামূলক বা ধ্বং'সাত্মক কর্মকান্ড ঘটাতে পারে। রাজধানীর পু'লিশের নিরাপ'ত্তা ব্যবস্থা থাকবে ডগ স্কোয়াড কে-৯ ইউনিট ও বোম্ব-ডিসপোজাল ইউনিট। থাকবে মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ে।
সিটিটিসির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আহমেদুল ইসলাম বলেন, রাজধানীতে জঙ্গি হাম'লা ঠেকাতে প্রস্তুত রয়েছে সিটিটিসির সদস্যরা। সন্দে'হ হলে জিজ্ঞাবাদ করা হবে। প্রয়োজন মনে করলেই গ্রে''প্ত ার করা হবে।
অতিরিক্ত উপ-পু'লিশ কমিশনার (মিডিয়া) ইফতেখায়রুল ইসলাম বলেন, কোনো ধরনের অ’প্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত সতর্কতা হিসেবে থাকবে তল্লা'শি চৌকি। বাড়ানো হবে পু'লিশি টহল। পু'লিশি নিরাপ'ত্তার পাশাপাশি র‌্যাব' ও গোয়েন্দা পু'লিশের সঙ্গেও সমন্বয় করা হবে।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, জঙ্গিরা থেমে নেই। বাংলাদেশে যাতে আর একটিও জঙ্গি হাম'লার ঘটনা না ঘটে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ চে'ষ্টা করা হচ্ছে। গত পরশুদিন আমর'া জঙ্গি সংগঠনের একজন লিডিং সদস্যকে গ্রে''প্ত ার করেছি। তিনি বো'মা বিশেষজ্ঞ, অনলাইনে তিনি বো'মা তৈরির প্র'শিক্ষণ দিতেন। নারায়ণগঞ্জের যে শক্তিশালী বো'মা উ'দ্ধার হয়েছে সেটাও সরাসরি তার তত্ত্বাবধানে তৈরি করা হয়। এই মাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জঙ্গি বা নাশ'কতাকারী গ্রে''প্ত ার করা হয়েছে। তারা যে থেমে নেই এতটুকু বলা যায়, তবে আমর'া আমা'দের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চে'ষ্টা করে যাচ্ছি, যাতে বাংলাদেশ আরেকটি ঘটনাও না ঘটে।
বর্তমানে তৎপর জঙ্গিরা ছোট ঘটনা ঘটিয়ে বিদেশি মিডিয়ায় আসতে চায়। সে জন্য তারা ১৫ আগস্টের মতো ইভেন্টকে বেছে নিতে পারে। তবে যারা এই তৎপরতা চালাচ্ছিল তাদের পুরো গ্রুপটি ধ’রা পড়েছে বলে দাবি করেন শফিকুল ইসলাম। ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে গ্রুপটি এটা ডেভলপ করে আসছিল। দেখেছেন, প্রথমে ৫টি ট্রাফিক পয়েন্টে ছোট ছোট বো'মা'র বি'স্ফো'রণ ঘটিয়েছিল। তারপর ইনপ্রুভ ডিভাইস এনেছিল। সবশেষ শক্তিশালী বো'মা তারা তৈরি করতে সক্ষ'ম হয়েছিল। ধাপে ধাপে তারা উন্নতি করছিল। সেই পুরা গ্যাং'টা ধ’রা পড়েছে।
১৫ আগস্ট ঘিরে জঙ্গি তৎপরতার বি'ষয়ে কমিশনার বলেন, আমর'া আশংকার জায়গাটা উড়িয়ে দিচ্ছি না। এধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ মেধা ও চে'ষ্টা দিয়ে আমর'া তৎপর রয়েছি। জঙ্গিদের নজরদারির জন্য সাইবার তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান কমিশনার। তিনি বলেন, এখন সারা পৃথিবীর সাইবার ওয়াল্ডের মধ্যে ব'ন্দি হয়ে গেছে। জঙ্গিরাও সাইবার মিডিয়া গু'লো ব্যবহার করে তাদের রিক্রুটমেন্ট করার চে'ষ্টা করছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমর'া যে প্রবণতাগু'লো দেখছি তা হলো, আ’ফ’গানিস্তানের যাওয়ার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে, তা'লে'বানদের পক্ষ থেকে। দেশ থেকে তা'লে'বানদের সঙ্গে যু'দ্ধ করার জন্য অলরে'ডি কিছু মানুষ হিজরত করেছে। আমর'া ধারণা করছি, কিছু মানুষ ইন্ডিয়ায় ধ’রা পড়েছে। আর কিছু মানুষ হেঁটে বা অন্য উপায়ে আ’ফ’গানিস্তানের পৌঁছানোর চে'ষ্টা করছে।
তিনি বলেন, শুধু আমর'া না, সাইবার ওয়ার্ল্ডে বিভিন্ন সংস্থা তাদের মনিটর করার চে'ষ্টা করছে। যখনই সন্দে'হভাজন কিছু পাওয়া যায়, আমা'দেরকে জানানো হয়। যত গোয়েন্দা সংস্থা আছে সবাই তৎপর আছে।
পু'লিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, শোক দিবসে নব্য জেএমবির হাম'লার আশংকা রয়েছে। পু'লিশ সদস্যদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। জঙ্গি হাম'লা মোকাবিলায় আমর'া প্রস্তুত রয়েছি। শোক দিবসের যেসব ভ্যানুতে অনুষ্ঠান সফল করতে নিরাপ'ত্তা বলায় তৈরি করতে সবাইকে নিরাপ'দ রাখতে মাঠে থাকবে পু'লিশ বসানো চেকপোস্ট।
এ ব্যাপারে পু'লিশ সদর দ'প্ত রের এআইজি মিডিয়া মো. সোহেল রানা বলেন, নব্য জেএমবির হাম'লা রোধে নজরদারীতে থাকবে পু'লিশ।