
ঢাকা- বিধিনিষে'ধ শিথিলতার ক্ষেত্রে সরকার কিছুটা তাড়াহুড়া করেছে বলে মত প্রকাশ করেছে কোভিড-১৯ সংক্রা'ন্ত জাতীয় কারিগরি পরামর'্শক কমিটি।সারাদেশে কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ ও মৃ'ত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকার সময় সরকারের এমন সি'দ্ধান্তে উদ্বেগ প্রকাশ করে লকডাউন অব্যা'হত রাখার সুপারিশ করেছে কমিটি।
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্ম'দ সহিদুল্লার সই করা এক বিজ্ঞ'প্ত িতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়।বিজ্ঞ'প্ত িতে বলা হয়েছে, বিধিনিষে'ধ শিথিলতার ক্ষেত্রে সরকার কিছুটা তাড়াহুড়া করেছে। এর ফলে সংক্রমণ আবার বৃ'দ্ধি পাওয়ার আশংকা রয়েছে, তাতে অর্থনীতি আরও বেশি হু’মকির মুখে পড়বে। লকডাউন
আরও ১-২ স'প্ত াহ চলমান রাখতে পারলে এর পুরােপুরি সুফল পাওয়া যেত।এতে বলা হয়, সারাদেশে কোভিড-১৯’র সংক্রমণ ও মৃ'ত্যুর হার সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। চলমান অবস্থায় লকডাউন শিথিল করার সরকারি সি'দ্ধান্তে জাতীয় কারিগরি পরামর'্শক কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে।‘আগস্টে লকডাউন কঠোরভাবে পালিত না হলেও
জনসমাবেশ হওয়ার মতো বেশ কিছু গু'রুত্বপূর্ণ স্থান বন্ধ থাকায় সংক্রমণ হারে উন্নতি পরিলক্ষিত হয়। তবে সংক্রমণ এবং মৃ'ত্যুর হার কোনটাই স্বস্তিদায়ক অবস্থায় আসেনি। এমতাবস্থায় সাম্প্রতিককালে সরকারের দ্রুত বিধিনিষে'ধ শিথিল করার/তুলে নেয়ার সি'দ্ধান্তে সভা উদ্বেগ প্রকাশ করে।’জাতীয় কারিগরি পরামর'্শক কমিটি জী'বিকা ও দেশে
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে সরকারের দায়িত্ব উপলব্ধি করে ও সরকারের অবদান কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করে।সভা মনে করে বিধিনিষে'ধ শিথিল করায় সংক্রমণ আবারও বাড়তে পারে। তাতে অর্থনীতি আরও বেশি হু’মকির মুখে পড়বে।প্রসঙ্গত, করোনার সংক্রমণের ঠেকাতে গত ১ জুলাই থেকে বিধিনিষে'ধ শুরু হয়। তবে ঈদ
উপলক্ষে ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষে'ধ শিথিল করা হয়। ঈদের পর ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত আবারও বিধিনিষে'ধ কার্যকর করা হয়। পরে তা আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত করা হয়েছিল।টানা ১৯ দিন বিধিনিষে'ধের পর গত ১১ আগস্ট তা শিথিল করা হয়। ফলে দীর্ঘবিরতির পর রাস্তায় গণপরিবহন চলাচলসহ মানুষের চলাচল বৃ'দ্ধি পায়। এতে অনেকক্ষেত্রে উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি।