সোনার কারখানায় গহনা ও জিনিস গুলো যেভাবে তৈরি হয় দেখলে অবাক হবেন।(দেখুন ভিডিও)

সোনার সাথে পৃথিবীর অনেক বেদনা বিধুর ও ভ'য়ংকর কাহিনী জড়িত। সোনা অধিকারের লক্ষ্যে জাতিতে জাতিতে যু'দ্ধ হয়েছে, প্রাণ হারিয়েছে অগণিত মানুষ। আবার সোনার মালিক হয়েও কেউ শান্তি পায়নি। কারণ পাওয়ার পরই এসে যেতো সোনা হারানোর ভ'য়।

যখন থেকে মানুষ সমাজব'দ্ধ 'হতে শিখেছে এবং ধীরে ধীরে সামাজিক শ্রেণীবিভাগের সূচনা হয়েছে তখন থেকেই মানুষ খনি থেকে সোনা উত্তোলন করতে শুরু করে। তখন থেকেই অলঙ্কার তৈরীতে সোনা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তখন সোনা বিশু'দ্ধিকরণের প'দ্ধতিগু'লো মানুষের তেমন জানা ছিল না।

এ কারণে তখন মূলত সোনা-রুপার স'ঙ্কর ধাতু তৈরি করা 'হতো যা অ্যাজেম নামে পরিচিত ছিল। এছাড়া সোনা-রুপার আরেকটি প্রাকৃতিক স'ঙ্কর ধাতু বিদ্যমান ছিল যার নাম ইলেকট্রুম।

দুনিয়াতে প্রতিটি জিনিস তৈরি করার জন্য আলাদা আলাদা নিয়ম এবং আলাদা আলাদা উপায়ে তৈরি হয়ে থাকে। তবে আজকে আমি আপনাদের মাঝে দুনিয়ার সবচাইতে দামি একটি জিনিস তৈরি করা দেখাব। আজ বলব সোনা তৈরির কারখানা নিয়ে।এটি কিভাবে কি কি প্রসেস ফলো করে বাজারে আসে তা নিয়ে বিস্তারিত আজকের এই ভিডিওতে দেখাবো।

ধারণা করা হয়, সোনা মানুষের আবি'ষ্কৃত প্রাচীনতম মৌল। এমনকি নব প্রস্তর যুগেও সোনার তৈরি দ্রব্যাদি ব্যবহৃত 'হতো। সে যুগের খননকৃত অনেক নিদর্শনে পাথরের জিনিসের সাথে এগু'লোর অ'স্তিত্ব পাওয়া গেছে।

Interesting For You

জার্মানির বিখ্যাত সমাজতত্ত্ববিদ কার্ল মা'র্ক্সও সোনাকে মানুষের আবি'ষ্কৃত প্রথম ধাতু হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। অ’পরিবর্তনীয় রুপ, সহজ বণ্টনযোগ্যতা এবং চকচকে প্রকৃতির জন্য এটি অনেক আগে থেকেই অর্থের প্রধান মানদ'ণ্ড হিসেবে ব্যবহৃত 'হতো।

প্রাচীনকালের সকল জাতিতেই স্বর্ণের ব্যবহার ছিল। মিশরীয় সম্রাটদের দ্বারা নির্মিত পিরামিডগু'লো খনন করে প্রচুর সোনার অলঙ্কার ও জিনিসপত্র উ'দ্ধার করা হয়েছে।

অনেককাল ধরেই মিশরীয়রা সোনা নিয়ে গবেষণা করেছে। চতুর্থ থেকে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত কিমিয়াবিদরা সোনা অনুসন্ধানের আপ্রাণ চে'ষ্টা করেছিলেন। তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল পরশ পাথর অনুসন্ধান। তাদের বিশ্বা'স মতে, পরশ পাথরের মাধ্যমে ক্ষার ধাতুকে সোনায় রুপান্তরিত করা সম্ভব।

কিমিয়াবিদদের এই ধারণার পিছনে আরও কারণ ছিল। তামা'র খনিতে অনেকদিন লো'হা পড়ে থাকলে তার উপর তামা'র আস্তরণ পড়তো। কিমিয়াবিদরা মনে করেছিল লো'হা তামায় রুপান্তরিত হয়েছে। এ থেকে তারা এ ধারণাও করেছিল যে অন্য ধাতুকেও এভাবে সোনায় পরিণত করা সম্ভব।


তারা এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। তবে এই কাজে সর্বোচ্চ উন্নতি করতে পেরেছিল মিশরীয়রা। তারা সোনা নিষ্কাষণের গু''প্ত বিদ্যা জানতো। মিশরীয় ঐতিহ্যের সাথে সোনার সম্পর্ক সুগভীর।