
জালের নিচে অনেক ধরনের মাছ আট'কা পড়ে। পুঁটি,চিংড়ি,কার্প ও নল মাছ বেশি ধ’রা পড়ে। বেশ কিছু অঞ্চলে বর্ষাকালে ঝাঁকি জালের মাধ্যমে মাছ ধরতে দেখা যেত।কিন্তু বর্তমানে কুমিল্লাসহ বাংলাদেশের অনেক স্থানে জালের ব্যবহার প্রচুর কমে যাচ্ছে।
জাল বাংলাদেশের প্রাচীন মাছ ধ’রার কৌশল। তম্মধ্যে ঝাঁকি জাল অন্যতম। ঝাঁকি জালের উপরের প্রান্তে সরু র'শি বাঁধা থাকে। জালের নিচের দিকে লো'হার ছোট ছোট কাঠি যুক্ত করা হয়।
যাতে পানিতে জাল ফেললে তাড়াতাড়ি ডুবে যেতে পারে। মাছ ধ’রার সময় খাল,পুকুর বা নদীর তীর থেকে র'শিটি হাতে রেখে জাল পানিতে ছুড়ে মা'রা হয়। পরে র'শি ধরে টেনে জাল তোলা হয়।
এর মূল কারণ বর্তমানে এই জাল ব্যবহার করে অতীতের মত যথে'ষ্ট মাছ ধ’রা সম্ভব হচ্ছেনা। কিছু স্থানীয় কৃষকদের মতে এই জাল ব্যবহার দুই থেকে তিনশত টাকার মাছ অর্জন হয়। এই কারণে এই জালের ব্যবহার কমে যাচ্ছে।
মাছ একটি শীতল র'ক্তবিশি'ষ্ট মেরুদ'ণ্ডী প্রাণী যার শ্বা'স-প্রশ্বা'সের জন্য ফুলকা রয়েছে,চলাচলের জন্য যুগ্ম অথবা অযুগ্ম পাখনা রয়েছে,এদের দে'হে সচরাচর আঁইশ থাকে,সাধারণত এরা জলকেই বসবাসের মাধ্যম হিসেবে গ্রহণ করে থাকে।
সাধারণত এদের দে'হের বহির্ভাগ আঁশ দ্বারা আচ্ছাদিত; তবে আঁশ নেই এমন মাছের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। এরা সমুদ্রের লোনা জল এবং স্বাদু জলের খাল, বিল, হাওর, বাওর, নদী, হ্রদ, পুকুর, ডোবায় বাস করে।
পাহাড়ি ঝর্ণা থেকে শুরু করে মহাসাগরের গহীন অতল স্থানে, অর্থাৎ যেখানেই জল রয়েছে সেখানেই মাছের অ'স্তিত্ব দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় সর্বত্র মাছ মানুষের খাদ্য হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
মাছ মানবদে'হে অন্যতম আমিষ যোগানদাতা। অনেক স্থানেই মাছ চাষ করা হয়ে থাকে। এ ছাড়াও বিনোদন হিসাবে ছিপ/বড়শি দিয়ে মাছ ধ’রা আবার মাছকে অ্যাকুয়ারিয়ামে প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। কয়েকটি প্রাণী মাছ না হলেও এগু'লো মাছ হিসাবে প্রচলিত।
সম্প্রীতি দেখা যাই যে একটি গ্রামের বধূ বন্যায় বাড়ির উঠানে ঝাকি জাল দিয়ে মাছ ধরছে , মাছ ধরে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে বিশ্ববাসীকে অনেক প্রশংসাও কুড়িয়েছেন ।