৮ এর নামতা বলতে পারছেন না সরকারি শিক্ষিকা, তুমুল ভাইরাল ভিডিও

ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সম্পর্কও অত্যন্ত মধুর। কারণ, ছাত্রছাত্রীদের মনে শিক্ষক সম্পর্কে ভয়-ভীতি থাকলে পড়াশোনার ক্ষেত্রে তা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে। আমা'দের প্রত্যেকের বিদ্যালয়ে অনেক শিক্ষক থাকেন, তাঁরা প্রত্যেকেই আমা'দের শিক্ষাদানের মধ্য দিয়ে জীবনের সঠিক পথ প্রদর্শনে সহয়তা করেন। তাঁরা প্রত্যেকেই আমা'দের কাছে সমান শ্র'দ্ধেয়।

কিন্তু প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অন্তরে একজন কোনো শিক্ষকের জন্য বিশেষ স্থান থাকে। কিন্তু সেই শিক্ষক বা শিক্ষিকা যদি গোড়ায় গলদ থাকে, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবি'ষ্যত যে একেবারেই রসাতলে যেতে বাধ্য, তা আর বলার অ’পেক্ষা রাখে না। সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও। ভিডিওটি দেখে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যেতে বাধ্য শিক্ষিত সমাজের।

শিক্ষক শিক্ষিকারা' হলেন এই সমাজের ধারক এবং বাহক। তাদের হাত ধরেই জীবনের প্রথম শিক্ষা আমর'া র'প্ত করে থাকি। শিক্ষক শিক্ষিকারা' হলেন দ্বিতীয় গু'রু। যাঁদের অবদান। আমা'দের জীবনে স্মর'ণ করে রাখার মত। তাদের হাত ধরেই স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে করল এবং কলেজের গণ্ডি পেরিয়ে উচ্চশিক্ষায় অগ্রসর 'হতে পারি আমর'া।

এই মানুষগু'লোর অবদান আমা'দের জীবনে মা বাবার ঠিক পরেই। শুধু পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি স্কুলের বাইরেও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও অন্য প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে যোগ দেয় ছাত্রছাত্রীরা। সবটাই শিক্ষক শিক্ষিকারা' সাহচর্যে। ছাত্রছাত্রীদের এই মানসিকতা তৈরির ক্ষেত্রে স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অবদান রয়েছে যথে'ষ্ট।

এই ভিডিওটি বিহার রাজ্যের সরকারি স্কুলের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে ধরেছে। প্রাইমা'রি স্কুলের শিক্ষিকা হলেও ছাত্র ছাত্রীদের শিক্ষা দিতে ব্য'র্থ তিনি। কারণ মাত্র ৮ এর ঘরের নামতা বলতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন ওই শিক্ষিকা। মাস গেলে হাজার হাজার টাকা মাইনে পাচ্ছেন তিনি। কিন্তু পড়াশোনা করানোর বেলায় অ'ষ্টরম্ভা।

Interesting For You

মাস গেলে মাইনে পেলেও ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশুনার ক্ষেত্রে একেবারেই উদাসীন বিহারের এক সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। শুধু উদাসীন বললে ভুল হবে। রীতিমতো নামটা জানেন না তিনি। নামটা বলতে গিয়ে বারবার আট'কে যাওয়ার পাশাপাশি ভুলভাল বলছেন তিনি। এমনকি তেরোর ঘরের নামতা বলতেও তিনি পারেন না।

কিন্তু সেই বি'ষয়ে খুব একটা ল'জ্জা নেই তার। বরং ল'জ্জাহীনভাবে নিজের না পারার বি'ষয়টি সকলের কাছেই প্রকাশ করছেন তিনি। নামতা বলতে না পেরে যেখানে ল'জ্জায় মুখ লুকানোর প্রয়োজন ওই শিক্ষিকার, সে জায়গায় একেবারে নির্লজ্জের মতো হাসতে থাকেন তিনি।

এমনই এক ভিডিও সাম্প্রতিক সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। শুধু তাই নয় স্কুলের মিড ডে মিলের অবস্থা দেখে চক্ষুচড়কগাছ 'হতে বাধ্য সকলের। মিড ডে মিলের ভাত তরকারি ডালের জায়গায় কাঁকর ভর্তি ভাত।

শুধু যে শিক্ষার দিক থেকে শিশুরা পিছিয়ে যাব'ে এমনটাই নয়, রীতিমত জীবন নিয়েও চলছে ছেলেখেলা। “নেটওয়ার্ক ২৪” নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল থেকে সাম্প্রতিক পোস্ট করা হয়েছে এই ভিডিও। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে এই ভিডিও। সরকারি স্কুলের শিক্ষিকার এই অবস্থা দেখে তাজ্জব সকলে।

কিভাবে সরকারি স্কুলে চাকরি পেলেন এই শিক্ষিকা, উঠছে প্রশ্ন। কেনই বা এমন অশিক্ষিত এক মহিলাকে সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত করেছে সরকার সেই নিয়েও চলছে জল্পনা। ইতিমধ্যেই দেড় মিলিয়ন দর্শক ভিডিওটি দেখার পাশাপাশি প্রচুর লাইক পড়েছে ভিডিওটিতে।