অভিনব পদ্ধতি মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করলো যুবক, নেট পাড়ায় ভাইরাল ভিডিও

মৌমাছি প্রাণিজগতের অন্যতম পরিশ্রমী পতঙ্গ। ক্ষুদ্র এই জীবের বিপুল পরিশ্রমের পুরোটা ফল ভোগ করে মানুষ ও পরিবেশ।

এই উপকারী প্রাণীদের জন্য একটি দিনও নির্ধারণ করেছে জাতিসং'ঘ। ৪ বছর ধরে ২০ মে বিশ্ব মৌমাছি দিবস হিসেবে পালন হচ্ছে।

এ উদ্যোগ মৌমাছির গু'রুত্ব অনুধাবনে আমা'দের সহায়তা করবে নিঃসন্দে'হে।

ফুলের সুষ্ঠু পরাগায়নে সহায়তা করে মৌমাছি ফল, ফসলের উৎপাদন বৃ'দ্ধিতে গু'রুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। ফল উৎপাদন বাড়লে বীজ উৎপাদনও বাড়ে।

তাতে নতুন গাছ বাড়ে। বাড়ে বনও। প্রাকৃতিক বনের ক্ষেত্রে এটা আরও বেশি সত্য। এসবের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অবদান রাখে মৌমাছি।

বাংলা ব্যাকরণে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস অনুযায়ী মৌমাছি হলো মৌ আশ্রিত মাছি। সাধারণ মাছির দুটি পাখা থাকে।

কিন্তু মৌমাছির পাখা চারটি। অতিরিক্ত দুটি পাখা তারা মধু ধারণ ও বহনের কাজে লাগায়। পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির মৌমাছি রয়েছে।

আমা'দের দেশে সাধারণত পাঁচ রকম মৌমাছির দেখা মেলে। সারা দেশে এদের দেখা মিললেও সুন্দরবনে মাত্র দুটি প্রজাতি—এপিস ডরসেটা ও স্ট্রিং-লেস মৌমাছির দেখা পাওয়া যায়।

এপিস ডরসেটা মৌমাছি বড় আকৃতির। তারা কিছুটা আগ্রাসী। পোষ মানে না। বড় গাছে, উঁচুতে, বাসাবাড়ির কার্নিশে বাসা তৈরি করে।

Interesting For You

চৈত্র-বৈশাখ মাসে এরা সুন্দরবনে চলে যায়। দুই থেকে আড়াই মাস সেখানে থাকে। এ কারণে এ সময়ই সুন্দরবন থেকে প্রচুর মধু সংগ্রহ করেন মৌয়ালেরা।

স্ট্রিং-লেস মৌমাছি অত্যন্ত ছোট আকৃতির হয়। জ্যান্ত গাছের প্রাকৃতিকভাবে তৈরি গর্ত বা ঢোরের ভেতর বাসা তৈরি করে তারা।

গাছ চিড়ে এদের মধু সংগ্রহ করতে হয়। অন্য সব মৌমাছির বাসা ষ'ড়ভুজাকৃতির হলেও এদের ঘর গো'লাকৃতির হয়। খুব কম মধু পাওয়া যায় এদের বাসা থেকে।

মৌমাছি থেকে মধু, মোম পরাগ, রয়েল জেলি ও বি'ষ পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্য কোনো পতঙ্গ থেকে এত দামি ও প্রয়োজনীয় জিনিস পাওয়ার নজির নেই বললেই চলে।

আমা'দের দেশে খামা'রিরা বাক্সে যে মৌমাছি পালন করেন, তা এপিস মেলিফেরা প্রজাতির। ইউরোপিয়ান জাতের এই মৌমাছি একদম সহজে পোষ মানে এবং প্রচুর মধু উৎপাদন করে থাকে।

পোষ মানে এমন আরেকটি মৌমাছি হলো দেশীয় এপিস সেরেনা প্রজাতির। এরা গাছের গর্তে, মাটির ঢিবির ভেতর বাসা তৈরি করে। রানিসহ ধরে এনে বাক্সে আট'কে রাখলে পোষ মেনে যায়। সুস্বাদু মধু পাওয়া যায় এদের মাধ্যমে।

এপিস ফ্লোরিয়া জাতের মৌমাছিকেও বাক্সে পোষ মানিয়ে পালন করার চে'ষ্টা করছেন অনেকে।

তবে সফল হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি এখনো। এরা ছায়াযুক্ত তেঁতুলগাছ, পাটিপাতাগাছ, অন্ধকারচ্ছন্ন জায়গায় বাসা তৈরি করে। এদের বাসায় সীমিত পরিমাণে মধু পাওয়া যায়।