
জানা গিয়েছে, এই ভেড়ার নাম ব্যারাক। গায়ে অনেকদিনের না কা'টা লোম থাকায় তার মধ্যে জমেছিল পু’রু ধুলোর আস্তরণ।
কাদা, ধুলোবালি, পাথরের টুকরোয় বেচারা ভেড়ার অবস্থা হয়েছিল জর্জরিত। অ'স্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ান স্টেটের জঙ্গল থেকে এই ভেড়াটিকে উ'দ্ধার করা হয়েছিল।
তারপর নিয়ে আসা হয় উত্তর মেলবোর্নের একটি স্যাংচুয়ারিতে। চলতি মাস অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে এই ভেড়াটিকে উ'দ্ধার করা হয়েছিল। তারপর নিয়ে আসা হয়েছিল Edgar’s Mission Farm Sanctuary-তে।
অ'স্ট্রেলিয়ায় দর্শন মিলেছে এক বন্য ভেড়ার। যার গায়ে ছিল ৩৫ কিলো পশম। অনুমান করা হয়েছে, প্রায় পাঁচ বছর ওই ভেড়ার লোম বা পশম কা'টা হয়ন
আর তার জেরেই ভেড়ার গায়ে জমেছিল ৩৫ কিলো অর্থাৎ ৭৭ পাউন্ড পশম। আপাত ভাবে ভেড়ারা তো নিরীহই দেখতে হয়।
তবে এই প্রকান্ড লোমের জটা ভেড়ার গায়ে আঁটোসাঁটো হয়ে বসে থাকায়, ভেড়াটিকে দেখতে হয়ে গিয়েছিল ভীষণদর্শন। যে কেউ আচমকা দেখলে ভয়ে চমকে যেতে পারেন।
এই স্যাংচুয়ারির প্রতিষ্ঠাতা প্যাম আহরেন জানিয়েছেন, তিনি বিশ্বা'সই করতে পারেননি যে এত পরিমাণ পশমের তলাতেও একটি ভেড়া বেঁচে থাকতে পারে।
অন্তত পাঁচ বছর ধরে এই সমস্যা ভোগ করছিল ভেড়াটি। আহরেনের মতে, সম্ভবত খুব অল্প বয়সে জঙ্গলের ভিতর পথ হারিয়ে ফেলেছিল সে।
তারপর আর ফিরে আসতে পারেনি। আহরেন আরও জানিয়েছেন যে, সাধারণত পশমের ভারে ভেড়াদের চলাফেরায় খুব অ'সুবিধা হয়। সেজন্যই নির্দি'ষ্ট সময়ান্তরে তাদের লোম কে'টে ফেলা হয়।
আর তা না হলে অনেক ক্ষেত্রেই অতিরিক্ত পশমের ভারে মৃ'ত্যু হয় ভেড়ার। তবে এই ভেড়াটির ক্ষেত্রে মিরাকল ঘটেছে। বিপুল পরিমাণ পশমের ভারেও বেঁচে রয়েছে ভেড়াটি। এটা সত্যিই আশ্চর্যের বি'ষয়।
তবে আপাতত ভেড়াটির লোম পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসাও হয়েছে তার। জানা গিয়েছে, এখন সুস্থই রয়েছে ওই ভেড়াটি।