
বন্যপ্রাণীদের জীবন কিন্তু সবসময়ই বেশ রহস্য-রোমাঞ্চে ভরা। কোন মুহূর্তে কী ঘটে যাব'ে, বলা মুশকিল। সবটাই ভীষণ অনিশ্চিত।
সম্প্রতি একটি ভিডিয়োতেও সেই দৃশ্য ধ’রা পড়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, একটি সুবিশাল কুমিরের সঙ্গে যু'দ্ধ বেঁধেছিল চিতাবাঘের।
নেহাত ক্ষিপ্র গতির অধিকার, তাই এ যাত্রায় কুমিরের গ্রাস হওয়ার থেকে বেঁচেছে সে।
১৪ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়ো দেখলে শিউরে উঠবেন যে কেউ। মুহূর্তের জন্য হলেও বুক কাঁপতে বাধ্য। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ঘন জঙ্গলের ঘেরা একটি জলা'শয়ে জল খেতে এসেছে চিতাবাঘটি।
জলা'শয়ের অবস্থাও বিশেষ ভাল না। পরিষ্কার না থাকায় প্রায় কিছু ভাল ভাবে ঠাহর করা যাচ্ছে না। তার মধ্যেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসে ওই জলা'শয়েই জল খেতে বসেছিল চিতাবাঘটি।
তে'ষ্টা মেটাতে জলা'শয়ের পাড়ে বসার সময় চিতাবাঘটিও বোধহয় আন্দাজ করেনি যে জলের মধ্যেই তার জন্য অ’পেক্ষা করছে সাক্ষাৎ মৃ'ত্যুদূত।
জলে মুখ দিতেই জলা'শয় থেকে লাফিয়ে ওঠে একটি বিশাল কুমির। ভয়ে, আত'ঙ্কে ছিটে যায় চিতাবাঘটি। কিন্তু জলের আর একদিকে তখন চিতাবাঘকে ধাওয়া করেছে কুমিরটি। নেহাত দ্রুত গতি ছিল, তাই মৃ'ত্যুমুখ থেকে মুহূর্তের জন্য ফিরে এসেছে চিতাবাঘটি।
নয়তো কুমিরের শি'কার হওয়া থেকে কোনওভাবেই প্রাণ বাঁচানো সম্ভব ছিল না। এই ভিডিয়ো টুইটারে শেয়ার করেছেন আইএফএস অফিসার সুরেন্দ্র মেহেরা।
ভারতীয় বনবিভাগের আধিকারিকের ওই টুইট এখন ভাইরাল। তিন হাজারের বেশি ভিউ হয়েছে এই সাংঘা'তিক ভিডিয়োটির।
এই ভিডিয়ো দেখা আঁতকে উঠেছেন নেটাগরিকরাও। প্রায় সকলেই বলেছেন, সত্যিই মুহূর্তের জন্য তাঁরা শিউরে উঠেছিলেন।
একচুল এদিক ওদিক হলে যে কী ভয়'ঙ্কর বিপদ ঘটতে পারত, সেটা ভেবেই গায়ে কাঁটা দিয়েছে নেটিজ়েনদের। এই ভিডিয়ো অবশ্য কবে, কোথায় তোলা হয়েছে সে ব্যাপারে নিশ্চিত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।