
ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা ছিল প্রার্থনা ফারদীন দীঘির। কিন্তু এখন আর তার সেই ইচ্ছাটি নেই। বলেছেন, ‘একটা সময় পর্যন্ত আসলে ডাক্তার হওয়ার অনেক শখ ছিল।
ধীরে ধীরে কেন জানি আর শখটা কাজ করেনি। ছোটবেলায় আমা'র মা যখন অ'সুস্থ 'হতো আমি বলতাম, বড় হয়ে তোমা'র চিকিৎসা করব, তোমাকে সুস্থ করে তুলব।
যেহেতু সে সুযোগ আর পাইনি, সৃ'ষ্টিকর্তা মাকে নিয়ে গেছেন, তাই আমা'র ইচ্ছাটিও আর কাজ করেনি। মায়ের মৃ'ত্যুর পর এটা নিয়ে আর কখনো ভাবিওনি।
এখন চলচ্চিত্রে ক্যারিয়ার গড়ার চে'ষ্টা করছি, এখানেই ব্যস্ততা বেশি আমা'র। তাই ডাক্তার নয়, নায়িকা হিসাবেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছি।’ বিজ্ঞাপন দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা সেই ছোট্ট দীঘির ব্যস্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। শুরুতে প্রায় চল্লিশটি সিনেমায় কাজ করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা ও পুরস্কার রয়েছে তার ঝুলিতে। বছরখানেক হলো নায়িকা হিসাবে আ'ত্মপ্রকাশ করেছেন। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু করবেন সরকারি অনুদানে নির্মিতব্য ‘শ্রাবণ জ্যোৎস্নায়’ সিনেমা'র শুটিং। এ ছবির শুটিং শেষ 'হতে না 'হতেই ব্যস্ত হয়ে পড়বেন
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে। শিশুশিল্পী হিসাবে দীঘি অ'ভিনীত অধিকাংশ ছবিই ছিল ব্যবসাসফল। কিন্তু নায়িকা হিসাবে অনেকটা ব্য'র্থ। বি'ষয়টি কীভাবে দেখছেন তিনি। জানতে চাইলে বলেন, আমি মনে করি সফলতা কিংবা ব্য'র্থতার বি'ষয়টি বিবেচনা করার আগে অন্তত পাঁচ থেকে সাতটি ছবি মুক্তি পাওয়া দরকার। একটা-দুইটা ছবি দিয়ে আমি কারও সফলতা বিচার করব না। আমি নায়িকা হয়েছি বেশিদিন হয়নি। সুতরাং এখনই আমাকে ব্য'র্থ বলার সুযোগ নেই। আরেকটু সময় দেওয়া হোক, আমি কী পারি কী পারি না সেটা দেখানোর। তারপর তারা বলুক আমি সফল না বিফল।’