
অনেকেই লো প্রেসারে ভুগে থাকেন। এক্ষেত্রে হঠাৎ ব্লাড প্রেসার কমে যায়। যার ফলে দেখা দেয় শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা। এক্ষেত্রে রোগী চোখে ঝাপসা দেখেন, মাথা ঘোরায় কিংবা অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
হাইপোটেনশন বা নিম্ন র'ক্তচাপের সমস্যা নানা কারণে 'হতে পারে। বিশেষ করে দুশ্চিন্তা, গ'র্ভাবস্থা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, পানির ঘাটতি, র'ক্তাল্পতা, পু'ষ্টির অভাব, কম পরিমাণে লবণ খাওয়া ই'ত্যাদি কারণেও নিম্ন র'ক্তচাপ 'হতে পারে।
দীর্ঘদিন যদি আপনি লো ব্লাড প্রেসারে ভুগতে থাকেন; তাহলে আপনার মস্তিষ্কে, হার্টে বা কিডনিতে সাময়িক বা স্থায়ী ক্ষ'তি 'হতে পারে। তাই প্রথম থেকেই এ সমস্যা সমাধানের চে'ষ্টা করুন। ঘরোয়া কয়েকটি উপায়ে নিম্ন র'ক্তচাপ জনিত সমস্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। জেনে নিন করণীয়-
লবণ জাতীয় খাবার
যেসব খাবারে লবণের পরিমাণ বেশি থাকে; সেগু'লো র'ক্তচাপ বাড়িয়ে দেয় দ্রুত। তাই উচ্চ র'ক্তচাপ থাকলে কাঁচা লবণ পরিহার করতে বলেন চিকিৎসকরা; ঠিক তেমনই র'ক্তচাপ কম থাকলে লবণ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর'্শ দেওয়া হয়।
এজন্য জলপাই, চিজ, যেকোনো সামুদ্রিক মাছ ডায়েটে রাখতে পারেন। আপনার পছন্দ অনুযায়ী টেবিল সল্ট বা সি সল্ট রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও এক গ্লাস পানিতে লবণ মিশিয়ে খেলে দ্রুত লো প্রেসার স্বাভা'বিক হয়ে আসে।
ক্যাফেইন জাতীয় খাবার
চা-কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ক্ষ'তিকর নয়! যদি না এতে মি'ষ্টি বা দুধ মেশানো হয়। ব্ল্যা'ক কফি বা চা খেলে দ্রুত হার্ট রেট বাড়ে। সাময়িকভাবে বাড়িয়ে দেয় র'ক্তচাপ। তবে এর প্রভাব কম সময়ের জন্য স্থায়ী হয়।
এ ছাড়াও সবার ক্ষেত্রেই যে ক্যাফেইন র'ক্তচাপ বাড়াবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। হঠাৎ যদি প্রেসার লো হয়ে পড়ে এবং আপনি অ'সুস্থ বোধ করেন; তখন সাময়িক সুস্থতার জন্য চা বা কফি পান করতে পারেন।
পানির 'বিকল্প নেই
জীবন বাঁচাতে পানি তো তো পান করতেই হবে। তবে শরীরকে হাইড্রেট রাখতে দিনে কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করা বাধ্যতামূলক। পাশাপাশি তরল পানীয়, যা জলের সা'প্লিমেন্ট হিসেবে কাজ করবে তা খেতে হবে।
শরীর ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে ব্লাড ভলিউম কমে যায়। ফলে কমে যায় র'ক্তচাপ। তাই পর্যা'প্ত পানি পান করার মাধ্যমেই লো প্রেসারের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।
বিটরুটের জুস খান
সবজি হিসেবে পরিচিত বিটরুট কাঁচাও খাওয়া যায়। লাল টকটকে এই সবজির আছে নানা উপকার। বিটরুট দ্রুত র'ক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই লো প্রেসারের সমস্যা কাটিয়ে উঠতে বিটের জুস খেতে পারেন। এ ছাড়াও প্রতিদিন এই সবজি ডায়েটে রাখতে পারেন।
খাবার খান সময় মেনে
অনেকেই প্রতিবেলার খাবার সময় মেনে খান না। এর ফলে দ্রুত প্রেসার নেমে যেতে পারে। অনেকেই সকালের নাস্তা না করে দুপুরে খান; আবার দুপুরে না খেয়ে রাতে খান! এভাবে খাদ্যাভাসের রুটিন করলে শরীর সুস্থ হওয়ার বদলে অ'সুস্থ হয়ে পড়বে।
র'ক্তচাপ কম থাকলে এটা করা যাব'ে না। বরং ২৪ ঘণ্টার সার্কেলে পাঁচবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। এতে খাবার পরিমাণও বেশি হবে না। আবার র'ক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
কার্ব কম খেতে হবে
অতিরিক্ত ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীর সুস্থ থাকতে কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবার কম খেতে হবে। এ ছাড়াও প্রসেসড কার্বোহাইড্রেটজাতীয় খাবারগু'লোও র'ক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, লো কার্ব ডায়েট কম র'ক্তচাপের সমস্যার সমাধান করে।
তুলসিতে আছে জাদু
তুলসি পাতায় আছে উচ্চ পরিমাণে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন সি। যা ব্লাড প্রেসার স্বাভা'বিক রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এতে আছে ইজিনল নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর ফলে নিম্ন র'ক্তচাপ ও উচ্চ র'ক্তচাপ হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। তাই তুলসি পাতার রস নিয়মিত গ্রহণ করতে পারেন।