
রাকিব হোসেন বলেন, ‘তামিমা আমা'র স্ত্রী, তাকে হাসিমুখেই ঘরে নেব, বরিশাল নিয়ে যাব'। আমা'র মেয়েকে দেখাশোনা করবে।’
নাসির-তামিমাকে ৩১ অক্টোবর আ'দালতে হাজির 'হতে বলা হয়েছে। যদি না আসেন তাদের গ্রে'ফতারি পরোয়ানা জারি করা হবে। রাকিব এখন তাকিয়ে আছেন আ'দালতের পরবর্তীও নির্দেশের দিকে।
এর আগে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্ম'দ জসীমের আ'দালতে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মী ও তামিমা'র মা সুমি আক্তারকে দোষী উল্লেখ করে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।
তালাক বৈধ না হওয়ায় সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের কেবিন ক্রু তামিমা সুলতানা তাম্মী এখনও ব্যবসায়ী রাকিব হাসানের স্ত্রী।
তদ'ন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— তালাক যথাযথ হয়নি জেনেও নাসির বিয়ে করেছেন তামিমাকে। তামিমা রাকিবকে তালাক দেননি। আইনগতভাবে রাকিব তালাকের কোনো নোটিশও পাননি। তামিমা উল্টো জা'লিয়াতি করে ডাকবিভাগের তালাকের নোটিশ তৈরি করে তা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন। যথাযথ প্রক্রিয়ায় তালাক না দেওয়ার ফলে তামিমা তাম্মী এখনও রাকিবের স্ত্রী হিসেবে বহাল রয়েছেন। দেশের ধর্মীয় বিধিবিধান ও আইন অনুযায়ী এক স্বামীকে তালাক না দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করা অবৈধ এবং শা'স্তিযোগ্য অ’পরাধ। এমন পরিস্থিতিতে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তামিমা তাম্মীর বিয়ে অবৈধ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে তালাকনামা ছাড়াই অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করার অ'ভিযোগে ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও তার স্ত্রী তামিমা সুলতানার বিরু'দ্ধে করা মাম'লার তদ'ন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন আ'দালত। গত ৩১ আগস্ট ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্ম'দ জসীমের আ'দালতে মাম'লার তদ'ন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন মাম'লার তদ'ন্ত সংস্থা পিবিআই প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ জন্য বিচারক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা'র প্রথম স্বামী মো. রাকিব হাসান বাদী হয়ে এ মাম'লা করেন। ওই দিনই আ'দালত বাদীর জবানব'ন্দি গ্রহণ করেন। এর পর শুনানি শেষে 'বিকালে আ'দালত মাম'লার অ'ভিযোগের বি'ষয়ে তদ'ন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মাম'লার অ'ভিযোগে বলা হয়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের আট' বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমা পেশায় একজন কেবিন ক্রু। চলতি বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্রপত্রিকায় তিনি ঘটনার বি'ষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন।
এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, রাকিবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক থাকাবস্থায় তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন, যা ধর্মীয় ও রা'ষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। নাসির তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন বলে অ'ভিযোগ করা হয়।
‘তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈ'তিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার আট' বছর বয়সি শিশুকন্যা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়েছে। আ'সামিদের এ ধরনের কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অ’পূরণীয় ক্ষ'তি। এমতাবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে আ'সামিদের বিরু'দ্ধে দ'ণ্ডবিধির ৪৯৪/৪৯৭/৪৯৮/৫০০ ও ৩৪ ধা'রায় অ’পরাধের অ'ভিযোগ আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় আদেশ দানে আ'দালতের মর'্জি হয়।’