
সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কে'টে দেয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় অ'ভিযুক্ত সেই শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তার দায়িত্বে থাকা ৩টি পদ থেকে পদ'ত্যাগ করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে রবি পরিচালনা বোর্ডের সি'দ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান পদ,সহকারী প্রক্টর পদ ও প্রক্টরিয়াল বোর্ডের সদস্য পদ থেকে লিখিতভাবে পদ'ত্যাগ করেছেন।
বি'ষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রা'প্ত ট্রেজারার আব্দুল লতিফ। তবে চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে অ’পসারণ বা পদ'ত্যাগ না করায় শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন অব্য'হত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। সেই সাথে তারা ৪দফা থেকে সরে এসে এখন এক দফা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই শিক্ষক চাকরি থেকে স্থায়ীভাবে পদ'ত্যাগ না করায় তার শিক্ষকতা পদ থেকে পদ'ত্যাগ চেয়ে শিক্ষার্থীরা রাতে আবারও আন্দোলন শুরু করে ও তা অব্য'হত রাখার ঘোষণা দেয়।
তবে এ বি'ষয়ে কথা বলার জন্য বরীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চে'ষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ট্রেজারার আব্দুল লতিফ বলেন, গতকাল রাতে তিনি তার দায়িত্বে থাকা ৩টি গু'রুত্বপূর্ণ পদ থেকে পদ'ত্যাগ করলেও শিক্ষার্থীরা তার শিক্ষক পদ থেকেও পদ'ত্যাগ চাইছে।
কিন্তু তার বিরু'দ্ধে আনীত অ'ভিযোগ তদ'ন্ত করে প্রমাণ না হওয়া পর্যন্ত আমর'া এটা করতে পারি না। অ'ভিযোগ প্রমাণিত হলে তখন এই বি'ষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া।
এ বি'ষয়ে ভুক্তভোগী ছাত্ররা জানায়, গত রবিবার দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যায়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রা'ষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বি'ষয়ের ফাইনাল পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন আগে থেকে কাঁচি হাতে পরীক্ষার হলের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোর মধ্যে ধ’রা যায়, তাদের মাথার সামনের অংশের বেশ খানিকটা চুল তিনি কাঁচি দিয়ে কে'টে দেন। এভাবে একে একে ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল তিনি কাঁচি দিয়ে কে'টে দেন।
এরপর পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের পরিবার তুলে গা'লিগা'লা'জ করেন। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পরে। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে বি'ষয়টি ব্যাপক ভাইরাল হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান তুহিনকে তার চেম্বারে ডেকে নিয়ে গা'লিগা'লা'জ করেন ও রবি থেকে তাকে স্থায়ী ভাবে বহিষ্কারের হু’মকি দেন।
এতে ভয়ে তুহিন সোমবার রাত ৭টার দিকে দ্বারিয়াপুরের শাহমুখদুম ছাত্রাবাসের নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ করে ঘু'মের বড়ি সেবন করে আ'ত্মহ'ত্যার চে'ষ্টা করেন। রাত ৮টার দিকে তার সহপাঠিরা বি'ষয়টি টের পেয়ে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উ'দ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকের কলেজে নিয়ে যায়।
বর্তমানে তিনি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার অবস্থা এখনও আশংকাজনক বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ক্ষু'ব্ধ হয়ে রাতেই রবি ক্যাম্পাসে ছুটে এসে 'বিক্ষো'ভ করেন। গভীর রাত পর্যন্ত তাদের এ 'বিক্ষো'ভ চলে। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা আবারও 'বিক্ষো'ভ শুরু করলে রবি ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে।