
যৌ'তুক না পেয়ে গার্মেন্টস কর্মী স্বর্ণা আক্তার (৩০) এর শরীরে গরম তেল ঢেলে দিয়ে ঝলসে দিল পাষন্ড স্বামী মো. সজনু মিয়া (৩৫)। গত শুক্রবার গভীর রাতে ঢাকার সাভারের জিরানি বাজার এলাকা এ ঘটনা ঘটে। মূমুর্ষ অবস্থায় স্বর্ণা আক্তারকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে।
ভূক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের পিংনা গ্রামের চাঁন মিয়ার পুত্রের সঙ্গে কাজীপুর উপজেলার রাজনাথপুর গ্রামের চানু মিয়ার কন্যা স্বর্ণা আক্তারের প্রায় ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে দশ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই যৌ'তুকের দাবীতে স্বামী সজনু মিয়া স্বর্ণাকে শারীরিক এবং মানষিক ভাবে নি'র্যা'তন করতো। সজনু মিয়া উপজেলার পিংনা বাজারে মনোহারী দোকানের ব্যবসা করে। স্বামী সজনু মিয়া স্ত্রীকে দেখতে সাভারের জিরানি বাজার এলাকার ভাড়া বাসায় যায়। রাতে স্ত্রীকে ঘু'মের ঔষধ খাইয়ে স্বামী সজনু তার শরীরে গরম তেল ঢেলে দিয়ে ঝলসে দেয়।
স্বর্ণার মা শিরিনা বেগম জানান, যৌ'তুকের দাবিতে স্বর্ণাকে প্রায়ই নি'র্যা'তন করতো স্বামী সজনু। শুক্রবার রাতে তারা স্বাভা'বিক ভাবে ঘু'মাতে যায়। তাদের মাঝে এদিনও পারিবারিক কলহে কথা কা'টাকাটি হয়।
ভোররাতে স্বামী সজনু মিয়া গরম তেল ঢেলে দিয়ে স্বর্ণার শরীরে। এতে তার মেয়ের শরীর, বুক, হাত ও পা ঝলসে গেছে। ঘটনার পরেই ভাড়াটিয়া বাসার মালিক স্বর্ণাকে হাসপাতালে চিকিৎসা না করিয়ে স্বর্ণাকে অ্যাম্বুলেন্সে পিংনা এলাকার বাড়িতে পৌছে দেয়।
পরিবারের সদস্যরা তাকে প্রথমে সরিষাবাড়ী হাসপাতালে পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয় বলে জানগেছে। বি'ষয়টি নিশ্চিত করেন সরিষাবাড়ী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ফাহমিদা তিথি। এ বি'ষয়ে মুঠোফোনে কথা হলে সরিষাবাড়ী থা'নার ওসি মীর রকিবুল হক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে পু'লিশ পাঠানো হয়েছে। অ'ভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।