
দুপুরের খাবার খেতে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলে ঢুকেছিলেন রায়হান হাসনাত চৌধুরী। বাবা-ছেলে বসেছিলেন মুখোমুখি। কিন্তু দুর্ভাগ্য, একসঙ্গে খাওয়া হলো না তাদের। হঠাৎই টেবিলের চেয়ার থেকে ঢলে মেঝেতে পড়ে যান রায়হান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃ'’ত্যু হয় তার।
বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে রাজধানী ঢাকার মহাখালীর একটি রেস্তোরাঁয়।
জানা যায়, ৩৭ বছর বয়সী রায়হান হাসনাত চৌধুরী চাকরি করতেন মহাখালীর নিটোল গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে। তার বাবা আবুল হাসনাত চৌধুরী ঢাকার নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। ব্যবসায়িক কাজে গতকাল তিনি গিয়েছিলেন গু'লশানে।
বাবা গু'লশান আসছেন জানতে পেরে দুপুরের খাবার একসঙ্গে খাওয়ার পরিকল্পনা করেন রায়হান। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুজনে একসঙ্গে ঢোকেন মহাখালীর একটি হোটেলে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, বাবা-ছেলের একসঙ্গে খাওয়া হলো না। তার আগেই হঠাৎ বসা থেকে কাৎ হয়ে হোটেলের মেঝেতে পড়ে যান রায়হান। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃ'’ত্যু হয়।
রায়হানের বন্ধু রেদওয়ান আতিক সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৩৭ বছর বয়সী রায়হানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলায়। যাত্রাবাড়ীর সুরুজনগর কলোনির নিজ বাড়িতে থাকতেন।
ধানমন্ডির আইডিয়াল কলেজ থেকে এইচএসসি শেষ করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ থেকে বিবিএ করেন রায়হান।
দেশের বাইরে থেকে করেন এমবিএ। ১২ বছর ধরে তিনি নিটোল মটরসে চাকরি করছেন। তার স্ত্রীর নাম রোমানা সরকার। তাদের সংসারে ১৬ মাস বয়সী এক কন্যা সন্তান রয়েছে।