পরীমনিকাণ্ডে সিটি ব্যাংকের জি’ডি

সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এসেছে চিত্রনায়িকা পরীমনিকে সাড়ে ৩ কোটি টাকার বিলাসবহুল গাড়ি উপহার দেওয়া ব্যক্তি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাশরুর আরেফিন। এ ঘটনায় ডিএমপির গু'লশান থা'নায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। জিডিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব মি’থ্যা-বানো’য়াট তথ্য প্রচারের মাধ্যমে একটি চ’ক্র সিটি ব্যাংক থেকে চাঁ’দাবাজির পাঁয়তারা করছে।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) গু'লশান থা'নার ওসি আবুল হাসান জি’ডির বি'ষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জি’ডিতে ব্যাংকের হেড অব কোর্ট অ’পারেশন গাজী এম শওকত হাসান লিখেছেন, সিটি ব্যাংক অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। সম্প্রতি কয়েকটি সংবাদমাধ্যম ও অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন অ'ভিনেত্রীর বিত’র্কিত কর্মকাণ্ডের সঙ্গে দি সিটি ব্যাংক লিমিটেডের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জড়িত বলে একটি মি’থ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার করে। এ তথ্যকে পুঁজি করে সমাজের কিছু স্বার্থান্বেষী, প্র’তারক ও চাঁ’দাবাজ বিভিন্নভাবে ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নাজেহাল করার অ’পচে'ষ্টায় লি'প্ত আছে অথবা থাকতে পারে বলে আশ'ঙ্কা রয়েছে।

জি’ডিতে আরও বলা হয়, এরূপ অ’জ্ঞাতনামা ব্যক্তিবর্গ এবং একটি স্বার্থান্বেষী মহল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে ব্যবহার করে ব্যাংকের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অ’পচে'ষ্টায় এবং ব্যাংক 'হতে অ’বৈধ পন্থায় অর্থ লাভের আশায় বিভিন্ন প'দ্ধতি অবলম্বন করছে এবং ভবি'ষ্যতে করতে পারে বলে আশ'ঙ্কা করা যাচ্ছে।

Interesting For You

এছাড়াও বর্তমানে এসব নিউজের কারণে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সামাজিক নিরাপ'ত্তাহীনতা, মানসিক উদ্বি'গ্নতায় ভুগছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

জিডিতে বলা হয়, এসব তথ্য ছড়ানোর কারণে চাঁ’দাবাজির উদ্দেশে সাধারণ জনগণের টাকা আ’ত্মসাতের বি'ষয়ে আশ'ঙ্কা থাকে বিধায় এরূপ চাঁদাবাজ-প্রতারক চ’ক্রের বি’রু'দ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করাসহ তাদের আ’ইনের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি।

এর আগে সোমবার (৯ আগস্ট) এ বি'ষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন সিটি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মাশরুর আরেফিন। তিনি জানান, ‘আমি আমা'র বাপের জীবনে, এই ম’র্ত্যের পৃথিবীতে, এই ধ’রাধামে পরীমণি নামের কাউকে দেখিনি। অতএব, তার নম্বর আমা'র কাছে থাকার প্রশ্নই আসে না। এমনকি ‘বোট ক্লাব’ ঘটনার আগে পর্যন্ত পরীমণি নামটাও শুনিনি। আমা'র মানুষকে জিজ্ঞাসা করতে হয়েছিল যে, কে এই পরীমণি?’