
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধ'র্ষণের অ'ভিযোগ উঠেছে এক বাবার বিরু'দ্ধে। এ ঘটনায় স্ত্রী বাদি হয়ে থা'নায় মাম'লা করার পর ওই বাবাকে গ্রে''প্ত ার করেছে পু'লিশ।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) 'বিকেল পাঁচটার দিকে ওই তাকে গ্রে''প্ত ার করা হয়। এর আগে দুপুর দুইটার দিকে মাম'লা করেন ওই কিশোরীর মা।
বি'ষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থা'নার পরিদর্শক (তদ'ন্ত) চাঁদ মিয়া।
মাম'লার বরাত দিয়ে তিনি বলেন, গত বছরের ১০ আগস্ট ওই কিশোরীর মা তার দুই মেয়েকে স্বামীর বাড়িতে রেখে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। এ সুযোগে ওইদিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে গৃহবধূর স্বামী ১৩ বছরের মেয়ের কক্ষে প্রবেশ করে জোরপূর্বক ধ'র্ষণ করে। মেয়ে ল'জ্জায় ও ভয় পেয়ে ঘটনাটি পরিবারের সবার কাছে গোপ'ন রাখে।
এরপর চলতি বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সকাল ১১টার দিকে গৃহবধূ আবারও তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। ওইদিন রাত সাড়ে আট'টার দিকে দুই মেয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘরের পশ্চিম পাশের কক্ষে ঘু'মিয়ে পড়ে। তখন পূর্ব পাশের কক্ষে শুয়ে থাকা বাবা তার ওই কিশোরীর কক্ষে প্রবেশ করে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয়।
এতে মেয়েটি সজাগ হয়ে ডাকচিৎকার করলে কক্ষ থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় বাবা। এরপর গত ১৪ সেপ্টেম্বর কিশোরীর মা তার বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে আসলে মেয়েটি তার মা’কে জড়িয়ে ধরে কান্না করে। মা জিজ্ঞাস করলে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে ওই কিশোরীর স্বজনদের সাথে পরামর'্শ করে মাম'লাটি করেন মা।
কথা হয় ধ'র্ষণের শি'কার কিশোরীর মামা'র সাথে। তিনি বলেন, আমা'র বোন বর্তমানে চার মেয়ের জননী। এর মধ্যে ধ'র্ষণের শি'কার মেয়েটি সবার বড়। সে একটি মা'দ্রাসায় পড়াশোনা করে।
কিশোরীর মামা আরও বলেন, আমা'র বোনের দুইটি মেয়ে জন্ম হওয়ার পর বোনকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়ে গত পাঁচ বছর আগে আরেকটি বিয়ে করেন স্বামী। এরপর ওই স্ত্রীর সাথেও বনিবনা না হওয়ায় তাকেও তাড়িয়ে দিয়ে আমা'র বোনকে আবারও বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন৷ এরপর আরও দুইটি মেয়ে জন্ম নেয়। পাষণ্ড এই বাবার উপযুক্ত শা'স্তি চাই।
এ বি'ষয়ে মুক্তাগাছা থা'নার ভারপ্রা'প্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, মাম'লা দায়েরের পর দ্রুত অ'ভিযান চালিয়ে ওই পাষণ্ড বাবাকে গ্রে''প্ত ার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে ময়মনসিংহ মূখ্য বিচারিক হাকিম আ'দালতে পাঠানো হবে।