
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে পাথরঘাটা প্রিমিয়ার লীগ-২০২১ এর ফাইনাল খেলাটি ছিল বরগু'নার পাথরঘাটা পৌরশহরের স্টেডিয়াম মাঠে। সেখানের প্রধান অতিথি ছিলেন বরগু'না -২ আসনের সাংসদ শওকত হাচানুর রহমান রিমন।
খেলার মাঠে আসার পথে সাংসদকে নিয়ে আসা মোটরসাইকেল বহরকে সাইড না দেওয়ায় নজরুল ইসলামের নামে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতাকে মা'রধরের অ'ভিযোগ উঠে শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরু'দ্ধে।
বুধবার (২২ সেপ্টেম্বর) 'বিকেল চারটার দিকে খেলা উপভোগ করতে আসা কয়েক হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে পাথরঘাটা পৌরশহরের স্টেডিয়াম মাঠ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নজরুল ইসলাম পাথরঘাটা পৌর ছাত্রলীগের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক।
প্রত্যক্ষদর্শী বেশ কয়েকজন জানান, পাথরঘাটা স্টেডিয়াম মাঠে খেলোয়াড়বাহী একটি মাইক্রো নিয়ে মাঠের দিকে যাচ্ছিলেন নজরুল ইসলাম। এদিকে মাঠের কাছাকাছি পৌঁছতে খেলোয়াড়বাহী মাইক্রোটি সাংসদের মোটরসাইকেল বহরের সামনে পড়ে। এ সময় ওই মাইক্রোবাসটিকে সাইড দেওয়ার জন্য সাংসদকে বহনকারী মোটরসাইকেল থেকে হর্ন বাজানো হয়। কিন্তু সড়ক সরু হওয়ায় মাইক্রোটি সাইড দিতে জায়গা পাচ্ছিল না। এতেই বির'ক্ত ও ক্ষি'প্ত হন সাংসদ রিমন। পরে কিছুটা সামনে গিয়ে জায়গা পেয়ে মোটরসাইকেল বহরকে সাইড দেয় খেলোয়াড়বাহী মাইক্রোবাসটি।
নজরুল ইসলাম বলেন, সাংসদ রিমন মঞ্চে বসে আমাকে ডেকে পাঠান। সাংসদের সামনে আসতেই পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন মধু আমাকে এমপির পা ধরে মাফ চাইতে বলেন। সামনে এগিয়ে যেতেই এমপি রিমন মাঠ ভর্তি দর্শক ও খেলোয়াড় ও অতিথিদের সামনেই আমাকে চড়-থাপ্পর দিতে শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, সাংসদ রিমন আমাকে গাড়িতে দেখেই ক্ষি'প্ত হন। তিনি তখন মাইক্রোর ড্রাইভারকে কিছু না বলে তিনি আমা'র ওপর ক্ষি'প্ত হয়েছিলেন। মূলত, আমি প্রয়াত সাংসদ গো'লাম সবুর টুলুর স্ত্রী ও বর্তমান সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ সুলতানা নাদিরার হয়ে শোক দিবস উপলক্ষে ব্যানার ও পোস্টার লাগিয়েছিলাম। তিনি রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জের মাঠ ভর্তি দর্শকের সামনে মিটিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘যদি গাড়ির চালক ভুল করে তবে গাড়ির চালককে সে মা'রধোর করতো। কিন্তু আমাকে কেন মা'রলো। আমি এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছি। পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে আমি মাছের ব্যবসা করি। আমা'রও একটা সম্মান আছে। কিন্তু আজ অন্তত ১০ হাজার মানুষের সামনে আমাকে মা'রধোর করলো। সে এমপি, অনেক ক্ষ'মতা তার। তাই আইনি প্রক্রিয়ায় যেতে পারিনি। যদি আমাকে নিরাপ'ত্তা দেয়া হয় তবে, আমি মাম'লা করবো।’
সেই সময়ে মঞ্চে উপস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ্যাডঃ জাবির হোসেন মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘এমপি’র এমন আচরণে আমর'া দুঃখ প্রকাশ করছি। এ ছাড়া আমা'র কিছু বলার নেই।’
এ বি'ষয়ে জানতে চেয়ে এমপি শওকত হাচানুর রহমান রিমনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, ‘নজরুল খারাপ লোক। ওর নামে মাম'লা আছে থা'নায়, তাই আমি চড় দিয়েছি।’
এ বি'ষয়ে জানতে পাথরঘাটা থা'নার ভারপ্রা'প্ত কর্মকর্তা আবুল বাশারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তবে, মৌখিকভাবে ঘটনা জানতে পেরেছি। থা'নায় কেউ অ'ভিযোগ দেয়নি। যদি অ'ভিযোগ দেয় তবে, তদ'ন্ত করে আইনগত প্রক্রিয়ায় যাব'েন তারা। যদি অ'ভিযোগকারীর নিরাপ'ত্তা দরকার হয় সে বি'ষয়েও উধ্র্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে আমর'া ব্যবস্থা করে দেবো।’