
পেশায় ছিলেন একজন অটোরিকশা চালক। নিজের জীবন, সংসার আর পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটাতেই কার্যত সংগ্রাম করতে 'হতো তাকে। কিন্তু লটারি জিতে সেই অটোচালকই হয়ে গেলেন কোটিপতি। সেটিও এক বা দুই কোটি নয়; প্রায় ১৪ কোটি টাকা।
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কেরালায় এই ঘটনা ঘটেছে। আলোচিত ওই অটোচালকের নাম জয়পালান পিআর। মঙ্গলবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া ও টাইমস নাউ।
সংবাদমাধ্যমগু'লো বলছে, লটারি জিতে কোটিপতি হয়ে যাওয়া কেরালার ওই সৌভাগ্যবান অটোচালক জয়পালান পিআর দিন দশেক আগে লটারির টিকিটটি কে'টেছিলেন। সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ওই লটারির ফল প্রকাশিত হয়। ফল দেখতে গিয়ে অটোচালক জানতে পারেন, তিনিই প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন। আর সেই পুরস্কারের আর্থিক মূল্য ১২ কোটি রুপি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ১৪ কোটি টাকা।
কেরালার মা'রাডু এলাকার বাসি'ন্দা জয়পালান পি আর। তিনি নিজেই তার পরিবারের দেখাশোনা করেন। তার মা লক্ষ্মী বাইয়ের বয়স ৯৫ বছর। এছাড়া সংসারে তার স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তানও রয়েছে। জয়পালানের স্ত্রী মনি স্থানীয় ছোত্তানিকারা' হোমিও হাসপাতালে সুইপারের কাজ করেন। আর দুই ছেলের একজন বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি ও অন্যজন হোমিও ডাক্তার।
রাতারাতি বড়লোক হওয়া জয়পালানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, কী করে নম্বর বেছে নিয়েছিলেন বা নম্বর বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে কারও পরামর'্শ নিয়েছিলেন কি না।
জবাবে বার্তাসংস্থা পি'টিআই’কে কোটিপতি অটোচালক বলেন, ‘লটারির নম্বর ছিল টিই৬৪৫৪৬৫। সংখ্যাটি দেখে আমা'র ভাল লেগেছিল বলেই ওই টিকিটটি কে'টেছিলাম। এ ব্যাপারে কারও পরামর'্শ নিইনি।’
সংবাদমাধ্যমগু'লো বলছে, কেরালার ত্রিপুনীথুরা থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর ওনাম বাম্পার লটারির টিকিটটি কে'টেছিলেন জয়পালান। গরুত রোববার তিঅনন্তপুরমের গোর্কি ভবনে লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। কেরালা রাজ্যের অর্থমন্ত্রী কে এন বালগোপাল অনুষ্ঠানটির উদ্বোধন করেছিলেন। রাজ্যজুড়ে 'বিক্রি হওয়া ৫৪ লাখ টিকিটের মধ্যে বেছে নেওয়া হয় প্রথম পুরস্কার বিজয়ীকে।
জয়পালানকে অনেকে ভালোবেসে কান্নান বলে ডেকে থাকেন। তিনি মা'রাদু শহরের কোত্তারাম ভগবতী মন্দিরের পাশে বসবাস করেন এবং নিজের অটোরিকশা নিয়ে স্থানীয় আম্বেদকার জংশন অটো স্ট্যান্ডেই বেশিরভাগ সময় অবস্থান করেন।