
হ’ঠাৎ করেই মাথার পেছনে বা যে কোনো অংশেই দেখা যায় অনেকখানি করে চুল ফাঁ'কা হয়ে গেছে। কখনও গোল আকৃতির কখনও বা অন্য আকৃতির। কিন্তু যদি হ’ঠাৎ করে মাথার যেখান থেকে সেখান থেকে চুল
‘গায়েব’ হয়ে যায় তবে সেটা সাধারণ বি'ষয় নয় বরং একটি অ'সুখ। এটা হচ্ছে শ’রীরের এক রকম অটো ইমিউন অ'সুখ যাকে ‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’ বলেন চিকি’ৎসকরা।
বিশেষজ্ঞরা জা’নান, এটি কোনো সংক্রা'মক রো’গ নয়। এর অন্য কোনও ক্ষ’তিকারক প্র’ভাবও শ’রীরে প’ড়ে না। মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে এই রো’গ বংশগত 'হতে পারে
বিশেষজ্ঞদের দা’বি, যে কোনো বয়সেই এই স’মস্যা দেখা দিতে পারে। ‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’-এ আ'ক্রা'’ন্ত হলে শ’রীরের একটি নির্দি'ষ্ট অংশের হেয়ার ফলিকল আ'ক্রা'’ন্ত হয় এবং ওই অংশের চুল রাতারাতি ঝরে যায়। শুধু তাই নয়, ওই অংশে নতুন চুল গজানোর প্রক্রিয়াও বা’ধাপ্রা'প্ত হয় অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটার প্র’ভাবে।
বিশেষজ্ঞরা জা’নান, শ’রীরের বা মাথার কোনো বিশেষ বিশেষ অংশের হেয়ার ফলিকলকে ‘ত্রুটি’ বশত শ’রীরের ‘শত্রু’ হিসাবে চি’হ্নিত করে এবং শ্বেতকণিকার আ’ক্রমণে ওই বিশেষ অংশের হেয়ার ফলিকলের কার্যক্ষ’মতা স’ম্পূর্ণ রূপে ন’'ষ্ট হয়ে যায়।
‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’-এ আ'ক্রা'’ন্ত ব্য’ক্তির মাথা, দাড়ি, ভ্রু ই'ত্যাদি অংশের চুল আচ’মকাই প্রায় গো'লাকৃতিতে ঝরে গিয়ে ফাঁ'কা হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা জা’নান, যারা থাইরয়েড বা ডায়াবেটিসের মতো অটো ইমিউন ডিজিজে আগে থেকেই আ'ক্রা'’ন্ত, তাদের মধ্যে এই স’মস্যা দেখা দেওয়ার আশ’ঙ্কা বেশি।
তবে প্রথমিক পর্যায়ে চিকিৎ’সা শুরু করলে এই রো’গ নির্মূল করা সম্ভব। কখনও কখনও দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎ’সায় সারিয়ে তোলা হয় ‘অ্যালোপেসিয়া এরিয়াটা’-এ আ'ক্রা'’ন্ত রো’গীকে। ওষুধ, ইনজেকশন বা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মিকে কাজে লা’গিয়ে এই রো’গের চিকিৎ’সা করা হয়।