
নওগাঁর রানীনগরে স্বামীকে কাছে না পেয়ে ছোট সতিনকে এ'সিড নি'ক্ষেপ করেছেন বড় সতিন। এ ঘটনায় স্বামী ওসমান আলী ও তার বড় স্ত্রী নারগিস বেগমকে আট'ক করেছে পু'লিশ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের আতাইকুলা মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ গৃহবধূর নাম পাতাশি বেগম। তিনি একই গ্রামের মজনু মিয়ার মেয়ে। তার স্বামী ওসমান আলী জেলার আত্রাই উপজেলার আন্ধারকোটা গ্রামের করিম প্রামাণিকের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, তিন বছর আগে পাতাশির সঙ্গে ওসমানের বিয়ে হয়। কিছুদিন সংসার করার পর বড় সতিনের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সৌদি আরবে চলে যান পাতাশি। তবে স্বামী ওসমানের সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তার নামে বেশকিছু টাকাও পাঠান তিনি।
৯ সেপ্টেম্বর সৌদি আরব বাবার বাড়ি আতাইকুলা গ্রামে আসেন পাতাশি। এমন খবরে ১৪ সেপ্টেম্বর 'বিকেলে পাতাশির বাবার বাড়িতে যান ওসমান। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওসমানের বড় স্ত্রী নারগিসও পাতাশির বাবার বাড়িতে যান।
সেখানে কথাবার্তার একপর্যায়ে নিজের ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে একটি বোতল বের করে পাতাশির মুখমণ্ডলে ছুড়ে মা'রেন নারগিস। এতে পাতাশির মাথা, মুখমণ্ডল, হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়।
এ সময় প্রতিবেশী সাগরের শিশু মেয়ে খাদিজা আক্তার, ইন্তাজ আলীর মেয়ে রিতা আক্তার ও আজিজুর রহমানের ছেলে আকাশ হোসেন আ'হত হয়।
তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে ওসমান ও নারগিস পালানোর চে'ষ্টা করেন। পরে তাদের আট'ক করে পু'লিশে দেয় গ্রামবাসী। আ'হতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তবে পাতাশির অবস্থা গু'রুতর হওয়ায় নওগাঁ সদর হাসপাতালে স্থা'নান্তর করা হয়।
রানীনগর থা'নার ওসি (তদ'ন্ত) তারিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে আট'ক করা হয়েছে। তাদের বিরু'দ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডেইলি বাংলাদেশ