প্রেমিকের ভয়ংকর রূপ,বাঁচতে প্রেমিকার ঝাঁপ সর্বনাশা পদ্মায়!

ছয় মাস আগে গড়ে ওঠে প্রেম। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় দেখা করার সুযোগ হয়নি। রোববার প্রেমিকার স্কুল খুলতেই হাজির হন প্রেমিক। ক্লাস শেষে দুজনই ঘুরতে যান পদ্মা নদীর তীরে। সেখানে যেতেই প্রেমিকের আসল রূপ বেরিয়ে আসে। হয়ে ওঠেন ভ'য়ং'কর।

প্রেমিকারও বুঝতে বাকি রইল না প্রেমিক কি চান! প্রেমিকের অনৈ'তিক প্রস্তাবে রাজি না হয়ে নিজেকে বাঁচাতে উত্তাল পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন প্রেমিকা।
ঘটনাটি রাজবাড়ীর। এ ঘটনায় সোমবার সকালে ১৭ বছর বয়সী প্রেমিক মো. ইব্রাহিম খলিলের বিরু'দ্ধে নারী ও শিশু নি'র্যা'তন দমন আইনে মাম'লা করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী।

মাম'লার পর ইব্রাহিমকে গ্রে'ফতার করেছে পু'লিশ। তিনি রাজবাড়ী শহরের শ্রীপুর নোয়াখালী পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে। আর ভুক্তভোগী ছাত্রী শহরের একটি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে পড়ছেন।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ছয় মাস আগে ইব্রাহিম খলিলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর তারা মুঠোফোনে কথা বলেন। একপর্যায়ে তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। করোনার কারণে দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুল খুলেছে রোববার। ওইদিন দুপুর ১টার দিকে তার স্কুলের সামনে আসেন ইব্রাহিম।

Interesting For You

এরপর দুজনে জেলা শহরের গোদার বাজার সংল'গ্ন পদ্মা নদীর তীরে ঘুরতে যান। একপর্যায়ে তাকে তীরে থাকা মোস্তফার ইটভাটার পূর্ব পাশের নির্জনে নিয়ে যান ইব্রাহিম। সেখানে তাকে অনৈ'তিক প্রস্তাব দেওয়ার পাশাপাশি শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। বাধা দেওয়ার পর ইব্রাহিম আরো বেশি মর'িয়া হয়ে ওঠেন।

একপর্যায়ে ইব্রাহিমের হাত থেকে বাঁচতে পদ্মা নদীতে ঝাঁপ দেন তিনি। ওই সময় স্থানীয়রা তাকে উ'দ্ধার করে। তবে অ'সুস্থ হয়ে পড়েন। বর্তমানে তিনি রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

গ্রে'ফতার ইব্রাহিম খলিলকে আ'দালতের মাধ্যমে কারা'গারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজবাড়ী থা'নার ওসি মোহাম্ম'দ শাহাদাত হোসেন।