
মানিকগঞ্জ শহরের একটি ফ্লাট থেকে এক পু'লিশ সদস্যের স্ত্রীর হাত-পা ও মুখ বাঁধা লা'শ উ'দ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ৯টার দিকে শহরের রিজার্ভ ট্যাংক এলাকার ওই ফ্ল্যাট থেকে ওই নারীর লা'শ উ'দ্ধার করে পু'লিশ। ওই নারীকে শ্বা'সরোধে হ'ত্যা করা হয়েছে বলে জানায় পু'লিশ।
নি'হত পু'লিশ সদস্যের স্ত্রীর নাম বিলকিস আক্তার (৩০)। তার স্বামী পু'লিশ কনস্টেবল মো. মাসুদ রানা গাজীপুরের পু'লিশ লাইনসে কর্মর'ত আছেন। বিলকিস আক্তার মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বরটিয়া ইউনিয়নের শ্রীবাড়ি গ্রামের মাজেদ আলীর মেয়ে। পু'লিশ সদস্য মাসুদ রানা মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের পারুরিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
ফ্ল্যাট মালিক কিতাবউদ্দিন ও পু'লিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত আগস্ট মাসে পু'লিশ কনস্টেবল মাসুদ রানা জেলা শহরের রিজার্ভ ট্যাংক এলাকার পাঁচ তলাবিশি'ষ্ট ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। সেখানে তার স্ত্রী ও দুই শিশুসন্তান থাকলেও তিনি গাজীপুরে কর্মস্থলে থাকেন।
তবে ওই পু'লিশ সদস্য মাঝে মধ্যে ছুটি পেলে বাসায় আসতেন। নি'হত নারীর বড় ছেলের বয়স ১৩ আর মেয়ের বয়স ৮ বছর।
ফ্ল্যাট মালিক আরও বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে রিজার্ভ ট্যাংক এলাকায় ওই ফ্ল্যাটের কক্ষের ভেতর থেকে ওই নারীর দুই শিশুর কান্না শুনে তিনি ভেতরে যান। এরপর কয়েকজন প্রতিবেশী হাত-পা এবং মুখ বাঁধা এবং গলায় কাপড় পেঁচানো অবস্থায় অ’পর একটি কক্ষে খাটে পড়ে তাকে থাকতে দেখেন। পরে বি'ষয়টি তিনি পু'লিশকে জানান।
সকাল ১০টার দিকে সদর থা'নার পু'লিশ ঘটনাস্থলে যান। এরপর পু'লিশ সুপার মোহাম্ম'দ গো'লাম আজাদ খান এবং অতিরিক্ত পু'লিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুপুরের দিকে পু'লিশ ওই নারীর লা'শ উ'দ্ধার করে ময়নাতদ'ন্তের জন্য জেলা সদরের ২৫০ শয্যাব'িশি'ষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর'্গে পাঠায়।
অতিরিক্ত পু'লিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীকে শ্বা'সরোধ করে হ'ত্যা করা হয়েছে। তবে তদ'ন্তের পরই নিশ্চিত হওয়া যাব'ে।