
নাটোরে কিশোরী গৃহকর্মীকে গরম ইস্ত্রি চেপে নি'র্যা'তনের অ'ভিযোগে ঢাকায় কর্মর'ত ডিবি পু'লিশের এক কর্মকর্তার স্ত্রীকে গ্রে'ফতার করেছে পু'লিশ। ওই ঘটনায় বুধবার মধ্যরাতে মাম'লা করেন ভুক্তভোগীর মা।
বৃহস্পতিবার সকালে নাটোর সদর থা'নার ওসি মনসুর রহমান বি'ষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নি'র্যা'তনের শি'কার গৃহকর্মী ওই উপজেলার পাইকেরদল গ্রামের বাসি'ন্দা। গ্রে'ফতারকৃত সুমী খাতুন একই উপজেলার ভাবনি গ্রামের আসাদুলের মেয়ে এবং ঢাকায় কর্মর'ত ডিবি পু'লিশের এসআই খন্দকার আতিকুর রহমানের স্ত্রী।
নি'র্যা'তনের শি'কার কিশোরীর চাচাতো ভাই সোহেল জানান, তিন বছর আগে সদর হাসপাতালের সামনে সুমী খাতুনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরে তার বাসায় মাসিক ১২০০ টাকা বেতনে চাচাতো বোনকে গৃহকর্মীর কাজে দেন। প্রথম ৮ মাস ১০০০ টাকা করে দিলেও পরবর্তীতে আর কোনো টাকা পায়নি ওই কিশোরীর পরিবার। এমনকি বারবার বলার পরও ওই কিশোরীকে বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি। অনেক অনুনয়-বিনয়ের পর বুধবার রাতে ওই কিশোরীকে তার বাড়িতে নিয়ে যান সুমী খাতুন ও তার মা।
ওই কিশোরীর ভাবি সুলতানা বলেন, আমা'র ননদ বাড়ি পৌঁছানোর পর তাকে আমা'দের কাছে আসতে বাধা দিচ্ছিল সুমী খাতুন। ওই সময় সন্দে'হ হলে ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখি তার মুখ ও হাতে আঘা'তের দাগ। ১০ মিনিট পরই সুমী তাকে নিয়ে চলে যেতে চান। ওই সময় আমা'র ননদ জানায়- করোনার কারনে তারা সুমী খাতুনের বাবার বাড়ি ভাবনি গ্রামে থাকাকালীন বিভিন্ন অজুহাতে তার ওপর নি'র্যা'তন চালান সুমী।
ওই গৃহকর্মী অ'ভিযোগ করেন, সুমী খাতুন তাকে দিয়ে গরু-ছাগলের ঘাস কে'টে নেয়াসহ নানা কাজ করাতেন। সামান্য দোষেই তাকে হাতা ও প্লায়ার্স দিয়ে আঘা'ত করতেন, গরম ইস্ত্রি চেপে ধরেও নি'র্যা'তন করতেন সুমী।
সদর থা'নার ওসি মনসুর রহমান বলেন, মাম'লার পর সুমী খাতুনকে গ্রে'ফতার করা হয়েছে। তদ'ন্ত সা'পেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/