
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নে ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ১৩ জন সধবা নারী নিয়মিত বিধবা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন বলে অ'ভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে এই তথ্য জানা যায়।
বিধবা ভাতাপ্রা'প্ত নারীরা হলেন, পূর্বধলা উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের জাওয়ানী গ্রামের বাসি'ন্দা এখলাস উদ্দিনের স্ত্রী নুরজাহান, আলী নেওয়াজের স্ত্রী জবেদা, হাছেন আলীর স্ত্রী কুলসুমা, জহর উদ্দিনের স্ত্রী রুমেলা, হাসিম উদ্দিনের স্ত্রী হালেমা, আবদুর রহিমের স্ত্রী আছিয়া, সিদ্দিক খানের স্ত্রী রানু বেগম, মর'ম আলীর স্ত্রী মাহমুদা, ইসলাম উদ্দিনের স্ত্রী হাজেরা আক্তার, বজলুর রহমানের স্ত্রী জমিলা, নইছ উদ্দিনের স্ত্রী ফিরোজা। একই ইউনিয়নের ভুগী গ্রামের নবী হোসেনের স্ত্রী জুলেখা ও আবু হোসেনের স্ত্রী নাছিমা
জানা গেছে, ইউনিয়নের ৩৭৮ জন নারী সরকারিভাবে বিধবা ভাতা পান। তাদের মধ্যে ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রয়েছেন ৫০ জন। তারা স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের মাধ্যমে এ ভাতা উত্তোলন করেন। কিন্তু ৫০ জনের মধ্যে ১৩ জনের স্বামী জীবিত ও বাড়িতে থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে তারা উত্তোলন করে আসছেন বিধবা ভাতার টাকা। নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম খান এবং স্থানীয় উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের কিছু অ'সাধু লোকজনের যোগসাজশে এই অনিয়ম হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাই মাস থেকে ওই ১৩ জন সধবা নারী নিয়মিত বিধবা ভাতা উত্তোলন করে আসছেন।
এদিকে এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া সুমন মিয়া নামের স্থানীয় এক যুবক জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অ'ভিযোগ করার পরও বি'ষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়।
জেলা প্রশাসক বরাবর করা লিখিত অ'ভিযোগ সূত্রে জানা যায়, জেলার পূর্বধলা উপজেলায় ৪ হাজার ৫৪৩ জন বিধবা ভাতাভোগী রয়েছেন। তাদের মধ্যে উপজেলাটির নারান্দিয়া ইউনিয়নে ৩৭৮ জন বিধবা ভাতা পান। এ ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে বিধবা ভাতাভোগী রয়েছেন ৫০ জন। এ ৫০ জনের মধ্যে ১৩ জন নারীর স্বামী বর্তমানে জীবিত আছেন।
এ নিয়ে অ'ভিযোগকারী যুবক সুমন মিয়া বলেন, আমা'র এলাকায় স্বামী-স্ত্রী মিলে সংসার করছেন। স্বামীও উপার্জনশীল। কিন্তু স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম প্রকৃত বিধবাদের ভাতার কার্ড না দিয়ে এসব সধবা নারীকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দিয়েছেন। আবুল কালাম তার সৌদিপ্রবাসী সহোদর ভাই শ’হীদ খানকেও প্রতিব'ন্ধী দেখিয়ে ভাতা উত্তোলন করেছেন। ঘটনাটি জানার পর আমি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অ'ভিযোগ দিয়েছি।
নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রা'প্ত চেয়ারম্যান খোকন মিয়ার সঙ্গে বি'ষয়টি নিয়ে কথা হলে তিনি বলেন, এ বি'ষয়ে আমা'র কিছুই জানা নেই। এরপর তিনি আর কথা বলতে চাননি।
অ'ভিযোগ অ'স্বীকার করে ইউপি সদস্য আবুল কালাম বলেন, এই নামগু'লো ফখরউদ্দিনের (সাবেক তত্ত্ববধায়ক সরকার) আমলে থেকে হয়ে আসছে। ২০১৪ সালেও হয়েছে। ২০১৮ সালে হয়েছে। আমি এটা করিনি। আমি করে থাকলে আমা'র স্বাক্ষর থাকত।
নেত্রকোনা জেলা সমাজসেবা অধিদফতরের উপপরিচালক মো. আলাউদ্দিন বলেন, এ ঘটনার বি'ষয়ে তদ'ন্ত চলছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে কার্ডগু'লো বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ডেইলি বাংলাদেশ/