ফাঁ’সানো হচ্ছে নাতো ডিবির কর্মকর্তা গোলাম সাকলায়েনকে?

শাহরিয়ার মামুন বিশাল নামের একজন তার নিজস্ব ফেজবুক একাউন্টে লিখেছেন

আমা'র বাস্তব জীবনে দেখা সবচেয়ে ট্যালেন্টেড মানুষ হচ্ছেন শিথিল ভাইয়া। তার কাছ থেকে ছাত্রজীবনে যেসব শিক্ষা আমি পেয়েছি তা পরবর্তীতে অনেক কাজে এসেছে। ভাইয়ার কাছে ২০১০ সালে আমি ক্যাডেট অ্যাডমিশনের প্রিপারেশন নিয়েছিলাম। ভাগ্য বিড়ম্বনায় যদিও ক্যাডেটে আর পড়া হয়নি সেটা নাহয় পরে একদিন বলবো। তার কাছেই আমা'র কম্পিউটার, সাধারণ জ্ঞান সহ এক্সট্রা-কারিকুলাম অনেক এক্টিভিটিজের উন্নতি হয়। তিনি আমা'র বাসায় আসতেন প্রায়ই। আম্মুকে কনভিন্স করেছিলেন আমাকে কম্পিউটার কিনে দেওয়ার জন্য। তার থেকে অনেক ভালো গু'ণ আমি অ্যাডপ্ট করেছি। আমা'র জীবনের সবচেয়ে সুন্দর সময় ২০১০ সাল, যার কিছুটা কৃতিত্ব কিন্তু শিথিল ভাইয়ার।

যাই হোক, সকাল বেলা পরী মনির সাথে ভাইয়ার স্ক্যা’ন্ডাল দেখে প্রচন্ড ক'ষ্ট পাই। তার মতন মানুষ এভাবে ট্র‍্যাপে পড়বেন এটা কখনোই ভাবি নাই। অ'সুস্থ বাবার মধ্যবিত্ত একটা ফ্যা'মিলি থেকে কতোটা স্ট্রাগল করে তিনি আজকের ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পু'লিশের (ডিবি) গু'লশান বিভাগের এডিসি সেটা তার পরিচিত কারোই অজানা নয়। অ'স্বাভা'বিক এই মেধাবী মানুষটির সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ভাইয়া ৩০তম বিসিএসে পু'লিশ ক্যাডারে প্রথম হয়েছিলেন। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর পু'লিশ একাডেমিতে বুনিয়াদী প্র'শিক্ষণেও হয়েছিলেন সেরা, পান বেস্ট প্রবিশনারি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড। পেশাগত দক্ষতা বাড়িয়ে নিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মাস্টার্স অব পু'লিশ সায়েন্সেও হয়েছিলেন প্রথম।

পেয়েছেন রা'ষ্ট্রপতির পু'লিশ পদক (পিপিএম)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে কারো পিপিএম পদক গ্রহণ করা চাট্টিখানি কথা না। কেবল যোগ্যতা বলে তিনি পেয়েছেন।

Interesting For You

৩০তম বিসিএসের কার্যক্রম যখন চলে তখন বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পরীক্ষায় প্রথম হন তিনি। একইসঙ্গে পরীক্ষা দিয়ে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসেবেও টিকে যান, যোগ দেন সেই চাকরিতেই। পোস্টিং হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে।

এইচএসসির পর সামর'িক বাহিনীতে কমিশন পদে আবেদন করেন। সেখানে সব পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন ৫৯ লং কোর্সে। তবে সামর'িক বাহিনীর নিয়মতান্ত্রিকতা ভাল না লাগায় আন্টি মানে ভাইয়ার আম্মু তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন।

তার নিজের এলাকা রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় পদ্মা'র পাড়ে মোক্তারপুর গ্রামের মানুষ থেকে শুরু করে পুরো রাজশাহী বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের কাছে উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন তিনি। সারাজীবন ক'ষ্ট করে তিলে তিলে অর্জন করা এতদিনের সম্মান, খ্যাতি-নিমিষেই শেষ হয়ে গেল!

এত মেধা, এত শিক্ষা, এত জ্ঞান নিয়েও এহে'ন ঘটনা ইতিহাসের ট্রয়নগরী ধ্বং’সের কথা মনে করিয়ে দেয়। তবুও সঠিক তথ্যের আশায় আছি। সত্যটা জানার আগে মানুষটিকে নিয়ে হাসিতামাশা না করার অনুরোধ রইলো।