পরীমনির হাতে মেহেদী দিয়ে লেখা ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’, কার উদ্দেশে এ বার্তা?

মা'দক মাম'লায় গ্রে'ফতারের পর টানা ২৬ দিন ব'ন্দিজীবন কে'টেছে পরীমনির। আলিশান ফ্ল্যাটে বিত্তবৈভব যার নিত্যসঙ্গী তার কিনা থাকতে হয়েছে লাল দেয়ালের ঘেরাটোপে। খেতে হয়েছে সাধারণ ব'ন্দিদের খাবার।

এই সময়টা ঢাকাই সিনেমা'র জনপ্রিয় নায়িকা পরীমনির জীবনের বড় একটি বাঁক। জীবনকে ওলট-পালট করে দিয়েছে কারা'গারের দিনগু'লো।

কখন মুক্ত হবেন, মুক্ত হাওয়া নেবেন সেই অ’পেক্ষায় হাঁসফাঁ'স করছিলেন পরীমনি। অবশেষে প্রতীক্ষিত মুহূর্ত। বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় কাশিমপুর মহিলা কারা'গার থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসেন পরীমনি। তার পরনে ছিল সাদা টি-শার্ট, মাথায় সাদা ওড়না, চোখে কালো রোদচশমা।

ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যে যারা কারা'ফটকে অ’পেক্ষায় ছিলেন, তাদের হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান পরীমনি।

কারা'ফটক থেকে যখন সাদা গাড়ি বের হলো, সানরুফ খুলে উঁচু হয়ে দাঁড়ালেন চিত্রনায়িকা পরীমনি।

হাত নেড়ে ভক্তদের ভালোবাসার জবাব দিলেন। কিন্তু অনেকের চোখ আট'কে গেল হাতের তালুতে আঁকা একটি লেখায়— ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’।

মেহেদী দিয়ে লেখা এই লেখাটি অনেকেরই চোখে পড়ে। হাতে লাভ চিহ্নও ছিল। পরীমনির এই বার্তা কাদের জন্য সেই প্রশ্ন উঠেছে।

বি'ষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চর্চা শুরু হয়ে গেছে।

উপস্থাপক রুম্মান র'শিদ খান লিখেছেন— ‘দুধের মাছি/সুসময়ের বন্ধু যারা; তাদের ভালোবাসার আর দরকার নেই পরীর।’

এমন বার্তার কারণ হিসেবে মডেল হৃদি উল্লেখ করেছেন, ‘যারা পরীমনির জন্ম'দিনে ফ্রিতে গিয়ে ফ্রি ফ্রি খেয়ে এসেছেন, আর সেলফি তুলে গেছেন; তাদের বোঝানো হয়েছে এটি।’

এদিকে মুক্তির পর পরীমনির অবস্থা জানতে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। অবশ্য আগেই পরীমনির আইনজীবী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, এখন নায়িকা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন না। একটু সময় নিয়ে রিফ্রেশ হয়ে কথা বলবেন। তাই জানা যায়নি, তার ওই বার্তাটি কাদের জন্য লেখা।

Interesting For You

বুধবার সকাল ৯টা ২১ মিনিটে আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভীর কাছে পরীমনি হস্তান্তর করে কাশিমপুর কারা' কর্তৃপক্ষ ।

মা'দক মাম'লায় ২৭ দিন পর জামিন পেলেন এই শীর্ষ নায়িকা। পরীমনিকে নিতে কারা'ফটকে উপস্থিত ছিলেন তার খালু মোহাম্ম'দ জসিম উদ্দিনসহ ৬-৭ জন আ'ত্মীয়। পরে সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে গাড়িতে পরীমনিকে নিয়ে কারা'ফটক 'ত্যাগ করেন তারা।

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে পরীমনির জামিনের আদেশ দেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমর'ুল কায়েশ। নারী, অ'ভিনেত্রী ও অ'সুস্থতা বিবেচনায় ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় তিনি পরীমনির জামিন মঞ্জুর করেন।

গত ৪ আগস্ট সুনির্দি'ষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অ'ভিযান চালিয়ে পরীমনিকে তার বনানীর বাসা থেকে আট'ক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব')। মা'দক মাম'লায় তিন দফায় সাত দিন রি'মান্ডে নিয়ে পরীমনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।

৪ আগস্ট 'বিকালে র্যাব'ের উপস্থিতি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লাইভে আসেন পরীমনি। এ সময় র্যাব'ের পক্ষ থেকে পরীমনিকে তার বাসায় অ'ভিযানের কথা জানানো হয়। কিন্তু তিনি লাইভে এসে মিথ্যা তথ্য ও অ’পপ্রচার চালানো শুরু করেন।

লাইভে পরীমনি বলেন, আমি ঘু'মাইতেছিলাম। বাসার নিচে মেইনগেটে সব ভাঙচুর করে তারা ওপরে চলে আসছে। এখন বাসার গেট ভাঙচুরের চে'ষ্টা করছে। বারবার কলিংবেল বাজাচ্ছে। পু'লিশসহ কেউ শুনছে না, আমি সবাইকে ফোন করলাম, কেউ আসছে না।

মর'ে গেলে আসবেন ভাই? তিনি আরও বলেন, আমা'র মনে হচ্ছে এরা ডা'কাত। একেক জনের একেক রকমের চেহারা। এরা যদি ডা'কাত হয় কী করবেন? আমি এটার ভয় করছিলাম। আমি আজ লাইভ কাটব না।

এখানে থা'না থেকে আসতে কতক্ষণ লাগে? মানুষ কি মর'ে যাব'ে? তারা নাকি কেউ জানে না, কোন থা'না থেকে আসছে, সিআইডি না র্যাব' কেউ কিছু বলতে পারছে না।

পরীমনি সবার উদ্দেশে আরও বলেন, আমি বুঝতেছি না আমি মর'ে গেলে আসবেন? আমি তো হার্টআট'্যাক করব। ব্রেনস্ট্রোক করে মর'ে যাব'। এটা একদম টর্চার। লাইভে থেকে আলোচিত এই চিত্রনায়িকা কারও একজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।

তখন তাকে বলতে শোনা যায়, আমি মর'ে যাব'। আর পৃথিবী দেখব না! আমি লাইভ কাটব না। আমি দেখিয়ে মর'ব। আমা'র সঙ্গে কেউ কিছু করে পার পাবে না। আর মে'রে ফেললে তো কোনো কিছু করার নেই।

২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করা পরীমনি এ পর্যন্ত ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অ'ভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমনিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।