কতদিনের জামিন পেলেন পরীমনি?

মা'দক আইনের মাম'লায় ঢাকাই সিনেমা'র আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনিকে জামিন দিয়েছেন আ'দালত। কিন্তু তার এ জামিন কতদিনের তা নিয়ে অনেকের কৌতুহল রয়েছে।

এ বি'ষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রা'ষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস পাল বলেন, চার্জশিট দাখিল হওয়ার আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন হয়েছে তার।

পরীমনির আইনজীবী মজিবুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আ'দালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন। তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই। আজকের মধ্যেই তাকে জেল থেকে মুক্ত করার চে'ষ্টা করব।

তিনি আরও বলেন, পরীমনির বিরু'দ্ধে আজকের যে মাম'লা সেটা শুধু মা'দক নয়, তার বিরু'দ্ধে এলএসডি ও আইসের অ'ভিযোগও আনা হয়েছে। এই ধরনের একটি মাম'লায় আমর'া অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে হাইকোর্ট এবং নিম্ন আ'দালতে আইনি মোকাবেলা করতে সক্ষ'ম হয়েছি। সেই কারণেই আজকের জামিন লাভ সম্ভব হয়েছে।

গত ৪ অগাস্ট রাতে ঢাকার বনানীতে পরীমনির বাসায় অ'ভিযান চালিয়ে তাকে গ্রে'ফতার করে র‌্যাব'। পর দিন তার বিরু'দ্ধে বনানী থা'নায় মা'দক আইনে এ মাম'লা করা হয়। জব্দ তালিকায় পরীমনির বাসা থেকে ‘ম'দ, আইস ও এলএসডির মতো মা'দকদ্রব্য’ উ'দ্ধারের কথা উল্লেখ করা হয়।

ওই দিনই পরীমনিকে প্রথম দফায় চার দিন ও ১০ আগস্ট দ্বিতীয় দফায় দুদিন রি'মান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে মাম'লার তদ'ন্ত সংস্থা সিআইডি।

Interesting For You

সবশেষ গত ১৯ আগস্ট পরীমনির একদিনের রি'মান্ড মঞ্জুর করেন আ'দালত। তৃতীয় দফা রি'মান্ড শেষে ২১ আগস্ট আ'দালতে হাজির করা হলে পরীমনিকে কারা'গারে পাঠানোর আদেশ দেন আ'দালত।

গত ২২ আগস্ট পরীমনির জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। ওই দিন আ'দালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

পর দিন আরেক দফা আবেদনে ‘দ্রুত শুনানির’ আবেদন করেন পরীমনির আইনজীবী। এতে সাড়া না পেয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। সেখানে রুল চাওয়ার পাশাপাশি পরীমনির জামিন আবেদনও করা হয়। হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৬ আগস্ট সরাসরি জামিন আদেশ না দিয়ে রুল জারি করেন।

আদেশের অনুলিপি পাওয়ার দুদিনের মধ্যে পরীমনির জামিন আবেদনের শুনানি করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সেই সঙ্গে ২২ আগস্ট পরীমনি জামিন অবেদন করার পর শুনানির জন্য ২১ দিন পরের তারিখ রেখে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আ'দালত যে আদেশ দিয়েছে, সেটি কেন বাতিল করা হবে না, তাও জানতে চান হাইকোর্ট।

১ সেপ্টেম্বর রুল শুনানির তারিখ রেখে এই সময়ের মধ্যে মহানগর দায়রা জজ আ'দালতকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়। আর হাইকোর্টের এ আদেশ বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিবাদীর কাছে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে সরকারের আইন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয় সেদিন।