
কু'ষ্টিয়ার কুমা'রখালীতে গভীর রাতে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীকে দেখতে গিয়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের হাতে গণপি’টুনি খেয়েছেন স্বামী। এমনকি চুরির চে'ষ্টার অ'ভিযোগে তার বিরু'দ্ধে মাম'লাও হয়েছে।
রোববার রাত ১টার দিকে ওই উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী জাকারিয়া ওই উপজেলার জোতপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
জাকারিয়ার চাচা রবিউল ইসলাম জানান, তার ভাতিজার সঙ্গে হোগলা গ্রামের খলিলুর রহমান মাস্টারের মেয়ের প্রেম ছিল। প্রেমের কারণে দুই বছর আগে মেয়ের বাবার হাতে জাকারিয়া মা'রও খেয়েছে। গত ২৪ আগস্ট তারা গোপ'নে কাজী অফিসে গিয়ে বিয়ে করে। এরপর যে যার বাড়িতে ছিল।
গত রাতে সদ্য বিবাহিত স্ত্রীর মেসেজ পেয়ে দেখা করতে হোগলা গ্রামে যাইয় জাকারিয়া। ওই সময় খলিল মাস্টার ও তার চাচাতো ভাই লালনসহ ৪-৫ জন তাকে ঘরের মধ্যে আট'কে হাতুড়ি ও দেশীয় অ'স্ত্র দিয়ে মা'রধর করে। এতে জাকারিয়া অচেতন হয়ে পড়ে। তার মাথায় সাতটি সেলাই দেওয়া হয়েছে।
রবিউল ইসলাম আরো জানান, খলিল মাস্টারের ছোট ভাই জয়নাল আবেদীন তাদের মোবাইলে কল দিয়ে জানায় জাকারিয়া তাদের মেয়ের ঘরে ঢুকেছিল- এ কারণে তাকে পু'লিশে দেওয়া হচ্ছে। খলিল মাস্টারের মেয়ে জাকারিয়ার বিবাহিত স্ত্রী। তবু তার ঘরে ঢোকার অ’পরাধে জাকারিয়ার বিরু'দ্ধে চুরির চে'ষ্টা করার অ'ভিযোগে মাম'লা করেছে মেয়ের বাবা।
কুমা'রখালী থা'নার ওসি কামর'ুজ্জামান তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় একটি মাম'লা হয়েছে। বি'ষয়টি মীমাংসার জন্য দুই পরিবারের সঙ্গে বৈঠক হবে।