সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ক্যাপ্টেন নওশাদ

মাঝ আকাশে হার্ট অ্যাটাকের শি'কার হওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের (বিমান) পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম মা'রা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)। তিনি ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ সোমবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে কোমায় থাকা অবস্থায় তার মৃ'ত্যু হয়।

এদিকে গতকাল রবিবার (২৯ আগস্ট) বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, তার অবস্থা আশ'ঙ্কাজনক। আমা'দের পক্ষ থেকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থার সর্বশেষ জানানো হবে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন মাহবুব জানিয়েছিল, লাইফ সা'পোর্টে থাকা অবস্থায় গতকাল দুপুরে ওনার পরবর্তী চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। সেই মেডিকেল বোর্ডের অধীনেই চিকিৎসা চলছিল তার।

Interesting For You

এদিকে জানা যায়, ৫ বছর আগে ক্যাপ্টেন নওশাদ তার বু'দ্ধি ও কৌশল প্রয়োগ করে আরও ১৪৯ যাত্রী, দুই পাইলট আর ৭ ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন। পেয়েছেন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বিমান সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিমানের বিজি-১২২ ফ্লাইটে ক্যাপ্টেনের দায়িত্বে ছিলেন নওশাদ।

সেই ফ্লাইটটি মাস্কাট বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা করেছিল। টেক-অফ করার পর মাস্কাট বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ার থেকে ক্যাপ্টেন নওশাদকে জানানো হয়, রানওয়েতে টায়ারের কিছু অংশ পাওয়া গেছে, যা সম্ভবত বিমান এয়ার ক্রা'ফটের 'হতে পারে। যাত্রীদের নিরাপ'ত্তার কথা ভেবে নওশাদ বিমানটি চট্টগ্রাম অবতরণ না করে ঢাকা বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের সি'দ্ধান্ত নেন।

অবতরণের আগে ক্যাপ্টেন ফ্লাইটটি নিয়ে রানওয়ের উপরে দুইবার লো-লেভেলে ফ্লাই করেন। তখন দেখা যায়, উড়োজাহাজের পেছনের দুই নম্বর টায়ারটি ক্ষ'তিগ্রস্ত হয়েছে। পরে ক্যাপ্টেন নওশাদ দক্ষতার সঙ্গে ক্ষ'তিগ্রস্ত টায়ার ও ল্যান্ডিং গিয়ারসহই নিরাপ'দে ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করাতে সক্ষ'ম হন। এই ঘটনার পর ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রা'প্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন রন অ্যাব'েল ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অ'ভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসা'পত্র পাঠায়।