মায়ের গায়ে হাত তোলায় স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন-মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত

এখন থেকে ঠিক ৬ বছর আগের কথা। খালাতো বোন সামিয়া শা,রমিনের স,ঙ্গে বিয়ে হয় জাতীয় দলের বর্তমান তারকা ক্রিকেটার মোসা,দ্দেক হোসেন সৈকতের। বিয়ের পর থেকেই সৈকতকে তার পরিবার ছেড়ে আলাদা সংসার করতে চাপ দিতে থাকে শা,রমিন। একদিকে মায়ের প্রতি শ্র,'দ্ধা অন্যদিকে স্ত্রী,র আলাদা হওয়ার চাপ। একপর্যায়ে স্ত্রীকে তালাক বা ডিভোর্স দেয়ার চূড়া,ন্ত সি'দ্ধান্ত নেন জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার।

নি'র্যা'তন ও যৌ'তুকের অ'ভিযোগে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরু,'দ্ধে আ'দালতে মাম'লা করেছেন তার স্ত্রী শারমিন। এ বি'ষয়টি চাউর হওয়ার পর 'বিকেল থেকেই মোসাদ্দেকের স’ঙ্গে যোগাযোগের চে,'ষ্টা করা হয়। রাতে যুগান্তরের সঙ্গে একান্ত আলাপে মোসাদ্দেক বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই ও আমাকে আলাদা সংসার গড়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। কিন্তু আমা'র বাবা নেই, যে মায়ের কারণে আমি আজ ক্রিকেটার। সেই মাকে ছেড়ে কিভাবে আলাদা থাকি? এটা আমা'র পক্ষে সম্ভব ছিল না। আমি ওকে এটা নিয়ে অনেক বু,ঝিয়েছি।’

সৈকত আরও বলেন, ‘আমি যখন খেলার কারণে ট্যুরে থাকতাম তখন ও আমা'র মা'র স,ঙ্গে ঝগড়া করত। মাকে একাধিকবার মে'রেছেও। এসব কারণে আমি গত ১৬ আগস্ট তাকে কোর্টের মাধ্যমে ডিভোর্স দেই।’স্ত্রী,র যৌ'তুকের অ'ভিযোগ নিয়ে মোসাদ্দেক যুগান্তরকে বলেন, ‘দেখেন ওকে আমি গত ১৬ আগস্ট তালাক দিয়েছি। তার আগে ও কিন্তু আমা'র বিরু'দ্ধে কোনো অ'ভিযোগ করেনি। তালাক দেয়ার পর ও নাটক শুরু করেছে। আমা'র ক্যারিয়ার ধ্বং'সের চক্রা',ন্ত করছে।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যে এত খারাপ সময় আমা'র আসেনি যে যৌ'তুক নিয়ে আমা'র চলতে হবে। আমি শুনেছি যে ডি,ভোর্স দিলে নাকি এমন নারী নি'র্যা'তন বা যৌ'তুকের একটা মাম'লা করা হয়। তারাও হয়তো তাই করেছে।’স্ত্রীর কর্মকাণ্ডে 'হতাশ জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার যুগান্তরের কাছে আ'ক্ষেপ করে বলেন, ‘ছেলে হয়ে জন্মে ভুল করেছি। আজ মেয়েরা যা বলে তাই সত্যি হয়। আমা'দের কথা কেউ সত্যি মনে করে না। ’

Interesting For You

প্রসঙ্গত, জাতীয় দলের ক্রিকেটার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বিরু,'দ্ধে শারীরিক ও মানসিক নি'র্যা'তনের অ'ভিযোগে মাম'লা করেছেন তার স্ত্রী সামিয়া শারমিন। ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যা,জিস্ট্রে,ট আ'দালতে যৌ'তুক নিরোধ আইন ৩ ও ৪ ধা'রায় অ'ভিযোগ করেন তিনি। এ বি'ষয়ে সদর উপজেলা মহিলা বি'ষয়ক কর্মকর্তাকে তদ'ন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন আ'দালত। সংশ্লি'ষ্ট সূত্র জানায়, ২০১২ সালে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সাথে তার আপন খালাতো বোন সামিয়া শারমিনের বিয়ে হয়।

সৈকতের স্ত্রী,র বড় ভাই মোজাম্মেল কবির জানান, সৈকত আমা'র খালাতো ভাই। তাদের পারিবারিক অবস্থা এক সময় খুব খারাপ ছিল। সে আমা'দের বাসায় আসা-যাওয়া করতো। তখন আমা'র বোনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। আমর'া বোনের বিয়ের জন্য পাত্র ঠিক করি, সৈকত তখন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের খেলোয়াড়। সৈকত তখন আ'ত্মহ'ত্যার হু’মকি দেয়। ইমোশনাল ব্ল্যা,কমেইল করে। একসময় আমর'া তাদের বিয়ে দেই।

সৈকতের স্ত্রী সামিয়া শারমিন বলেন, সৈকতের দুর্দিনে আমি তার পাশে ছিলাম। তার অর্থ-খ্যাতি হওয়ার পর সে আমা'র সাথে বাজে ব্যবহার শুরু করে। মানসিক নি'র্যা'তনের পাশাপাশি শারীরিক নি'র্যা'তনও শুরু করে। এপ্রিলে আমি কন,সিভ করি। রোজার ঈদের আগে আমা'র বাচ্চাটা ন'ষ্ট হয়ে যায়। ঈদে সৈকত বাড়ি আসে। আমি তাদের বাসায় ছিলাম। তার মা আমাকে বললো, বাপের বাড়ি চলে যেতে। কারণ আমা'র সেভাবে য,ত্ন হচ্ছিল না সেখানে। দু’মাস ধরে আমি বাসায়। তারা আমা'র সাথে কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি।