
আমা'দের দেশে সমাজ সেবা করা মানুষের অভাব নেই। অনেক মানুষ আছেন যারা সমাজের বঞ্চিত- শো-ষি-ত অংশের জন্য নিবেদিত চেত'না নিয়ে কাজ করেন। কেউ পরিবেশ ক্ষেত্রে কাজ করে কেউ শিক্ষাক্ষেত্রে এবং কেউ চিকিৎসা ক্ষেত্রে সমাজসেবার কাজ করছে। অনেক মানুষ আছেন যারা গত কয়েক দশক ধরে সমাজসেবা করছেন কিন্তু কেউ তাদের চেনে না। কিন্তু আজ সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে কেউই সমাজকর্মীর পরিচয় সম্পর্কে অজ্ঞ থাকতে পারে না।
এই সামাজিক কর্মীদের পরিচয় শুধুমাত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারের কাছে পৌঁছায়। আজকে আমর'া যার কথা বলতে যাচ্ছি তিনি একজন সমাজকর্মী এবং তিনি তার গ্রামের মানুষকে শিক্ষিত করার জন্য তার পুরো জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমর'া যে মানুষটির কথা বলছি তার বয়স জেনে আপনি অবাক হবেন। তার বয়স প্রায় একশো দুই বছর এবং তার নাম নন্দ প্রসতি। নন্দ তারা গ্রামের লোকেদের কাছে নন্দ মাস্টার নামে পরিচিত। সে মাত্র স'প্ত ম শ্রেণী পাস।
নন্দ গ্রামের শিশুদের সহ প্রবীনদের শিক্ষিত করার ব্রত নিয়েছিলেন এবং যার কারণে তিনি গত 70 বছর ধরে কেবল তার গ্রামেরই নয় আশেপাশের গ্রামের শিশুদের এবং প্রবীনদের শিক্ষিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি তার বাড়ির কাছে একটা ছোট জায়গায় সবাইকে শিক্ষা দেওয়ার কাজ করেন। তিনি ছোট বাচ্চাদের সকাল ন’টায় পরান। আর সিনিয়র সিটিজেনদের পড়ানোর কাজটি সন্ধ্যে ছয়টার পর করেন। এত ভালো কাজ করা একজন ব্যক্তি কিভাবে সমাজ ও সরকারের চোখের আড়াল 'হতে পারে
তাই সম্প্রতি ভারত সরকার নন্দ মাস্টার কে পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রদানের সি'দ্ধান্ত নিয়েছে যা ভারতের অন্যতম সর্বোচ্চ পুরস্কার। তিনি যখন জানতে পারলেন যে ভারত সরকার তাকে পদ্মশ্রী পুরস্কার দেওয়ার সি'দ্ধান্ত নিয়েছে তখন ননদের আনন্দের সীমা ছিল না
তিনি বলেছিলেন যে তিনি কখনও কল্পনাও করতে পারেনি যে তিনি একদিন এত বড় একটি সম্মান পাবেন। যখন তার গ্রামের লোক এই ব্যাপারে জানতে পারল তারাও খুব আনন্দিত হলো এবং সবাই বললো যে সে এই পুরস্কারের যোগ্য।।