
কক্সবাজারের পেকুয়ার পু'লিশের ওপর হাম'লা ও আ'সামি ছিন'িয়ে নেয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থী-নারী মিলে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতসহ ১২৩ জনের বিরু'দ্ধে মাম'লা দায়ের করা হয়েছে। মগনামায় চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিমের অনুসারী ও মুহুরি পাড়া গ্রামবাসীর মুখোমুখি অবস্থানের ঘটনায় পু'লিশ বাদী হয়ে থা'নায় মাম'লা দায়ের করেছে।
বুধবার (২৫ আগস্ট) পেকুয়া থা'নার উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়ের উদ্দিন ভূঁইয়া বাদী হয়ে এ মাম'লা দায়ের করেন। মাম'লা ৩৩ জনকে এজাহারনামীয় আ'সামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে ৮০-৯০ জন।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার মগনামা'র বাজার পাড়া সংল'গ্ন এলাকায় চেয়ারম্যানের ভাইসহ দুজনের উপর হাম'লার ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় হাম'লাকারীদের ধরতে গেলে মুহুরী পাড়া স্টেশনে মুহুরী পাড়া গ্রামবাসী পু'লিশের উপর হাম'লা করে। এতে পু'লিশের তিন সদস্য আ'হত হন।
এ মাম'লায় উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মুহুরীপাড়া এলাকার মৃ'ত ছদর উদ্দিনের ছেলে ও পেকুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মমতাজুল ইসলামকে প্রধান আ'সামি করা হয়েছে। তাছাড়া পু'লিশের দায়ের করা এ মাম'লায় আ'সামি করা হয়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সরকারি চাকুরিজীবিসহ অ'সংখ্য রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের।
গতকাল পু'লিশের হাতে আট'ক হওয়া মুহুরী পাড়ার বাসি'ন্দা পেকুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বি'ষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন নাজুকে এ মাম'লায় গ্রে'ফতার দেখানো হয়। পরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আ'দালতে জামিন আবেদন করলে আ'দালত জামিন মঞ্জুর করেন।
মাম'লার প্রধান আসামী মমতাজুল ইসলাম বলেন, ঘটনার দিন আমি এলাকায় ছিলাম না। অথচ আমাকে করা হলো প্রধান আসামী। কিছুদিন আগে চেয়ারম্যানের বাহিনীরা আমাকে হ'ত্যাচে'ষ্টা চালায়। থা'নায় এ ব্যাপারে লিখিত অ'ভিযোগ দেওয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি। থা'না প্রশাসনের এমন আচরণে 'হতাশ আজ পুরো পেকুয়াবাসী।
এদিকে থা'না প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পেকুয়া উপজেলার বাসি'ন্দারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পু'লিশের সমালোচনা করে রিদুয়ানুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে লিখেন, পেকুয়া থা'না পু'লিশ আজ মানুষের আস্থা হারিয়েছে। থা'না এখন আর সাধরণ মানুষের নির্ভরতার জায়গায় নেই।
পেকুয়া থা'নার পু'লিশ পরিদর্শক (তদ'ন্ত) কানন সরকার মাম'লার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের গ্রে'ফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার বি'ষয়ে মন্তব্য করে রাজি হননি এই পু'লিশ কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার মগনামা'র ব্যাংকল চিংড়ি ঘের-এ মাছ ডা'কাতিকে কেন্দ্র করে হাম'লার শি'কার হন চেয়ারম্যানের দুই ভাই। পরে চেয়ারম্যান অনুসারীরা এলাকার বিভিন্ন বসত ঘর ও গ্রামে সশস্ত্র হাম'লা করলে মুহুরি পাড়া স্টেশনে মুখোমুখি অবস্থান নেয় চেয়ারম্যান অনুসারী ও গ্রামবাসী।