মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান

মিয়ানমা'রের সামর'িক বাহিনীর ওপর নিষে'ধাজ্ঞা আরোপের জন্য জাতিসং'ঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রোহিঙ্গাদের ১০ সংগঠনের নেতারা।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়ার ৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল বুধবার এক যৌ'থ বিবৃতি দিয়েছেন ১০ রোহিঙ্গা সংগঠনের নেতারা।

এ সংগঠনগু'লো হলো- চ্যাম্পিয়নস অব চেঞ্জ, এডুকেশন অ্যান্ড উইজডম ডেভেলপমেন্ট ফর রোহিঙ্গা উইমেন, রোহিঙ্গা রিফিউজি কমিটি, রোহিঙ্গা উইমেন এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ, রোহিঙ্গা ইয়ুথ ফোর লিগ্যাল অ্যাকশন, রোহিঙ্গা ইয়ুথ ইউনিটি টিম, ভয়েজ অব রোহিঙ্গা, রোহিঙ্গা স্টুডেন্ট ইউনিয়ন, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল ইউনিয়ন এবং রোহিঙ্গা উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক।

বিবৃতিতে ১০ সংগঠনের নেতারা জাতীয় ঐক্য সরকারকে রোহিঙ্গা মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি মিয়ানমা'রে রোহিঙ্গাদের প্র'ত্যাব'র্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে কাজ করার তাগিদ দিয়েছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের আজকের দিনে মিয়ানমা'রে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত কয়েক লাখ রোহিঙ্গা আসতে শুরু করেন বাংলাদেশে। মিয়ানমা'রে গণহ'ত্যা ও হাম'লার কারণে সে দেশ থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন রোহিঙ্গারা। আমর'া এই দিনটিকে স্মর'ণ করি, যাতে ভবি'ষ্যৎ প্রজন্ম জানতে পারে আমা'দের সঙ্গে কী ঘটেছিল। আমর'া কয়েকটি সংগঠন স্মর'ণ ও শোক প্রকাশ করি এবং মিয়ানমা'রের নিরাপ'ত্তা বাহিনীকে গণহ'ত্যা ও মানবতাবিরধী অ’পরাধের জন্য জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানাই।

Interesting For You

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, মিয়ানমা'রের নিরাপ'ত্তা বাহিনী খু'ন, ধ'র্ষণসহ আমা'দের গ্রাম জ্বা'লিয়ে ধ্বং'স করে দিয়েছে। এ হাম'লার প্রেক্ষিতে প্রায় ১০ লাখের মতো রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় এবং এখানে শরণার্থী ক্যাম্পে গাদাগাদি করে আশ্রয় নেয়। মিয়ানমা'রের সামর'িক বাহিনী হাজারের অধিক পু’রুষ, নারী ও শিশুকে হ'ত্যা করেছে এবং কয়েক হাজার মানুষকে ব'ন্দি করেছে, যারা জান্তা সরকারের বিরোধিতা করেছিল। রোহিঙ্গারা এখনো রাখাইন প্রদেশে অনেক ঝুঁকির মধ্যে আছে এবং তাদের নাগরিকত্ব, অবাধ চলাচল এবং মানবাধিকার ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।

এতে বলা হয়, আমর'া মিয়ানমা'রের নাগরিক যারা জান্তা সরকারবিরোধী আন্দোলনকে সমর'্থন করি, তারা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং জাতীয় ঐক্য সরকারের আন্তর্জাতিক বিচারের প্রতিশ্রুতিকেও সমর'্থন জানাই। আমর'া এরপরও জাতীয় ঐক্য সরকারকে আহ্বান জানাই রোহিঙ্গা নীতি বর্ধিত করার জন্য এবং রোহিঙ্গা মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার জন্য। আমর'া জাতিসং'ঘকে আহ্বান জানাই সুনির্দি'ষ্টভাবে মিয়ানামা'রের সামর'িক বাহিনীর ওপর নিষে'ধাজ্ঞা আরোপের জন্য এবং উদ্ভূ'ত পরিস্থিতি নিরসনের জন্য। জাতিসং'ঘকেও দায়ীদের বিরু'দ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার ক্ষেত্রেও ধীর গতি অবলম্বন করতে দেখা গেছে।

বিবৃতিতে সংগঠনগু'লো জানায়, আমর'া বিশ্ব আ'দালতে গণহ'ত্যার দায়ে দায়ের করা মাম'লাকে সমর'্থন জানাই। আমর'া এ কয়টি সংগঠন সারাবিশ্বের বিশেষ করে যুক্তরা'ষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অন্যান্য দেশের সরকারকে আহ্বান জানাই মিয়ানমা'রে সং'ঘটিত গণহ'ত্যার মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের প্রতি যে অবিচার করা হয়েছে, তার একটি পরিষ্কার ধারণা তুলে ধ’রার জন্য। বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই আমা'দের জায়গা দেওয়ার জন্য এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য। আমর'া দীর্ঘ সময় ধরে মিয়ানমা'র ফেরত যাওয়ার জন্য অ’পেক্ষা করছি। চার বছর পেরিয়ে গেলো, আমা'রা মাতৃভূমিতে ফিরতে পারিনি। ন্যায়বিচার ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এমন একটি দেশ গড়ে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবো আমর'া।

ডেইলি বাংলাদেশ