
মা'দকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মাম'লায় কারা'ব'ন্দি ঢাকাই চলচ্চিত্রের আলোচিত নায়িকা পরীমনি। প্রত্যেক আ'সামিকে কারা'গারে নিয়ে যাওয়ার পর কারা'গারের রেজিস্ট্রারে তার নাম-পরিচয়সহ সব কিছু লেখা হয়।
পরীমণির ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম ঘটেনি। কারা' কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রারে তার নাম-ঠিকানাসহ তথ্য লিপিব'দ্ধ করতে যান। ওই সময় এক কারা' কর্মকর্তা পরীর কাছে জানতে চান, ‘কেমন আছেন আপনি?’
পরীমণির জবাব, ‘মশার কারণে সারা রাত ঘু'মাতে পারিনি। এতজন একসঙ্গে থাকতে গিয়েও ক'ষ্ট হচ্ছে। এভাবে কোনো দিন থাকিনি। অশান্তিতে আছি।’
পরে কারা' কর্মকর্তারা নায়িকাকে বলেন, ‘কারা'গারে শান্তির খোঁজ করলে চলবে? কারা'গার চলে কারা'বিধি অনুযায়ী। বন্দী হিসেবে আপনি যা সুবিধা পাওয়ার কথা, এর বেশি পাবেন না।’
‘আপনি ম্যারিড, নাকি আনম্যারিড?’ কারা' কর্মকর্তার এই প্রশ্নের জবাবে পরী বলেন, ‘আমি আনম্যারিড।’ কারা'গারের রেজিস্ট্রারে সেই তথ্যই লেখা হয়েছে। যদিও পরীর একাধিক বিয়ের খবর প্রচলিত আছে।
এক কারা' কর্মকর্তা বলেন, বন্দী কারা'গারে যাওয়ার পর রেজিস্ট্রারে তার পরিবারের সবার নাম লিখে রাখা হয়। যখন তার মুক্তি মেলে তখন ওই তথ্য নতুন করে যাচাই করা হয়। তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, ধরুন একজন বললো তার তিন ছেলে আছে।
তখন জিজ্ঞেস করা হয়, আপনার মেজো ছেলের নাম কী? বলার পর সেটা রেজিস্ট্রারে লিখে রাখা হয়। মুক্তির সময় তাকে জিজ্ঞেস করা হয়, আপনার মেজো ছেলের নাম কী? যদি নামের গরমিল না হয় তাহলে ধরে নেওয়া হয় যে সঠিক ব্যক্তিকেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে।